বৃহস্পতিবার, ডিসেম্বর ২৬

ইউক্রেন নিয়ে উত্তেজনা: বাইডেনকে পুতিনের সতর্কবার্তা

0

ডেস্ক রিপোর্ট: ইউক্রেনের ওপর যুক্তরাষ্ট্র নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করলে দুই দেশের সম্পর্ক একেবারে নষ্ট হয়ে যেতে পারে বলে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেনকে সতর্ক করে দিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ইউক্রেন সীমান্তে রাশিয়ার বিরুদ্ধে লাখো সেনা জড়ো করার ও শীতে সেখানে আক্রমণ চালানোর অভিসন্ধির অভিযোগ তোলে ওয়াশিংটন। এ নিয়ে কয়েক সপ্তাহ ধরে টানা উত্তেজনা চলছে দুই দেশের মধ্যে। রাশিয়ার সেনা সমাবেশকে নিয়ে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার মধ্যে স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার বিকালে দুই দেশের রাষ্ট্রপ্রধানের মধ্যে ফোনালাপ হয়। প্রায় এক ঘণ্টা ধরে চলা ফোনালাপে বাইডেনের প্রতি এমন সতর্কবার্তা দেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট। দুই নেতার মধ্যে চলতি মাসে এটি ছিল দ্বিতীয় ফোনালাপ। খবর বিবিসি ও ভয়েস অব আমেরিকার। ভ্লাদিমির পুতিনের অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে বাইডেনের সঙ্গে ফোনালাপটি ১০ জানুয়ারি জেনেভায় অনুষ্ঠিতব্য উচ্চ-পর্যায়ের আলোচনার আগেই অনুষ্ঠিত হলো। ফোনালাপের বিষয়ে পুতিনের পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা ইউরি উশাকফ বলেছেন, পরিস্থিতির অবনতি ঘটলে কিংবা ইউক্রেনের ওপর আক্রমণ চালালে রাশিয়ার বিরুদ্ধে নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপের মার্কিন হুমকির কথা গতকালের ফোনালাপে জো বাইডেন আবারও বলেছেন। যুক্তরাষ্ট্র এমন সিদ্ধান্ত নিলে তা হবে বড় ধরনের ভুল, যার পরিণতি হবে মারাত্মক। হোয়াইট হাউসের কর্মকর্তারা বলেছেন, বৃহস্পতিবারের ফোনালাপ শুরু হয় ওয়াশিংটন সময় বিকাল ৩টা ৩৫ মিনিটে এবং শেষ হয় ৫০ মিনিট পরে মস্কোর সময় মধ্যরাতের পর। রাশিয়া পরিষ্কার করেই বলেছে-তারা লিখিত প্রতিশ্রুতি চায় যে ইউক্রেনকে কখনোই ন্যাটোতে যোগ দিতে অনুমতি দেওয়া হবে না এবং ওই জোটের সামরিক সাজসরঞ্জাম সাবেক সোভিয়েত প্রদেশে মোতায়েন করা হবে না। বাইডেন প্রশাসন স্পষ্ট করে দিয়েছে-রাশিয়ার এ দাবিগুলো কার্যকর হতে পারে না। দুই নেতার ফোনালাপের আগেই হোয়াইট হাউস জানায়, রাশিয়া যদিও প্রায় এক লাখ সৈন্য ইউক্রেনের দিকে নিয়ে এসেছে এবং যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটোর কাছ থেকে দাবি আদায়ের জন্য এ সংখ্যা আরও বাড়াতে পারে, তবুও বাইডেন পুতিনকে বলবেন যে, কুটনৈতিক পথ খোলা রয়েছে। ওই দাবিগুলো জেনেভা বৈঠকে আলোচনা করা হবে। তবে, এটা এখনও পরিষ্কার নয় যে, এ সংকট মোচনের জন্য বাইডেন পুতিনকে কী ধরনের ছাড় দিতে পারেন। নিরাপত্তা বিষয়ে খসড়া নথিপত্রে মস্কো দাবি করেছে-ন্যাটো যেন ইউক্রেনের সদস্যতার আবেদন নাকচ করে দেয় এবং মধ্য ও পূর্ব ইউরোপ থেকে তাদের সৈন্য সরিয়ে নেয়। ইউক্রেনের ব্যাপারে পুতিন যে ধরনের নিশ্চয়তা চাইছেন, যুক্তরাষ্ট্র এবং তার মিত্ররা তা নাকচ করে বলেছে যে, ন্যাটোর নীতি হচ্ছে-উপযুক্ত রাষ্ট্রগুলোকে সদস্য পদ দিতে তারা প্রস্তুত। তবে, রাশিয়ার উদ্বেগ নিয়ে কথা বলতে তারা রাজি হয়েছে।

Share.