লাইফস্টাইল ডেস্ক: ‘ইফতার’ হলো আরবি শব্দ, এর অর্থ রোজা ভঙ্গ করা। অর্থাৎ ইফতার অর্থ রোজা ভঙ্গ করার জন্য বা ছাড়ার জন্য খাদ্য গ্রহণ করা। ইফতারের পূর্বে মানসিকভাবে রোজা ছাড়ার নিয়ত করা এবং হালাল ও সুন্নতী খাবার গ্রহণ করার মাধ্যমে রোজা ভঙ্গ করা।
ইফতারের নিয়ম : সেহরিতে হালাল খাদ্য গ্রহণ করে সারাদিন উপবাস থেকে সূর্যাস্তের সঙ্গে সঙ্গে হালাল খাদ্য গ্রহণের মাধ্যমে রোজা ভাঙা বা খোলার জন্য কিছু খাওয়াই হলো ইফতার। সূর্যাস্তের সময় বেশি দেরি না করে সঙ্গে সঙ্গে হালাল খাদ্য দিয়ে ইফতার করা বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর সুন্নত। ‘সূর্যাস্তের ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়ার পর দেরি না করে দ্রুত ইফতার করা সর্বোত্তম।’ (বুখারি)
ইফতারের সুন্নত : খেজুর বা খুরমা দিয়ে ইফতার করা উত্তম। তবে এটা সম্ভব না হলে যেকোনো মিষ্টিজাতীয় হালাল খাদ্য দিয়ে ইফতার করা উচিত। যদি এটাও কোনো কারণে সম্ভব না হয় তাহলে অন্য কোনো হালাল খাদ্য বা শুধু পানি দিয়েও ইফতার করা যায়।নবী (সা.) এরশাদ করেছেন যে, যখন তোমরা ইফতার করো, তখন খেজুর বা খুরমা দিয়ে ইফতার করো। কেননা, খেজুর বা খুরমার মধ্যে বরকত রয়েছে, আর যদি খেজুর বা খুরমা না পাওয়া যায় তাহলে পানি দিয়ে ইফতার করা ভালো; কারণ পানি পবিত্রকারী। এছাড়া হাদিসে পানিমিশ্রিত দুধ দিয়ে ইফতার করার হুকুমও বর্ণিত রয়েছে। মাগরিবের নামাজ আদায় করার পূর্বে ইফতার করা মুস্তাহাব বা উত্তম।
ইফতারের সামগ্রী : ইফতারে খেজুর বা খুরমা বা পানি দ্বারা ইফতার করা যায়। তবে ইফতারের সময় হালকা কিছু দিয়ে ইফতার করার পর পরিপূর্ণ খাবার গ্রহণ করা ইসলাম ও বিজ্ঞান সম্মতভাবে উত্তম। এতে করে শরীর সুস্থ ও ভালো থাকে। তাই হালকা খাবার দিয়ে ইফতার করে মাগরিবের নামাজ আদায়ের পর পরিপূর্ণ খাবার গ্রহণ করা স্বাস্থ্যসম্মত। এছাড়া পরিপূর্ণ খাদ্য তালিকায় সবুজ শাক-সবজি ও রকমারি ফলমূল খাওয়া ভালো।
ইফতার নিয়ে অপেক্ষা করা : ইফতারের আগে রোজাদার ব্যক্তির ইফতার নিয়ে তাসবিহ-তাহলিল ও তাওবা-ইসতেগফার করা আল্লাহর কাছে পছন্দনীয়। ইফতার সামনে নিয়ে আল্লাহ’র কাছে কিছু চাওয়া হলে আল্লাহ তার বান্দার ইচ্ছা পূরণ করেন।