ডেস্ক রিপোর্ট: ইরাকের নির্বাচনে শিয়া মুসলিম ধর্মীয় নেতা মোক্তাদা আল-সদরের দল সবচেয়ে বেশি আসনে জয় পেয়ে এগিয়ে আছে।দেশটির পার্লামেন্ট নির্বাচনের এ পর্যন্ত প্রকাশিত ফলাফলে সেই ভিত্তিতে বিজয়ী হতে যাচ্ছে এই শিয়া নেতা। প্রাথমিক ফলাফল দেখিয়েছে, সুন্নিদের তাকাদ্দুম জোট দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আসন পেয়েছে। শিয়া নেতৃত্বাধীন দলগুলোর মধ্যে দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী নুরি আল-মালিকির দল দ্বিতীয় স্থানে আছে। ভোটের প্রাথমিক ফলাফল, কর্মকর্তা ও সদরের দলের একজন মুখপাত্রের বরাতে এসব খবর জানিয়েছে। ২০০৩ সালে মার্কিন নেতৃত্বাধীন বাহিনীর অভিযান সুন্নি মুসলিম প্রেসিডেন্ট সাদ্দাম হোসেনকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দেয় এবং সংখ্যাগরিষ্ঠ শিয়া এবং কুর্দিদের ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত করে। তারপর থেকে ইরাকের সরকার ও সরকার গঠনে শিয়া গোষ্ঠীগুলোর আধিপত্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। সাদ্দামের আমলে শিয়া ও কুর্দিরা নিষ্পেষিত ছিল। ২০১৯ সালে গণবিক্ষোভে তৎকালীন সরকারের পতন হওয়ার পর রাজনৈতিক নেতাদের প্রতি ব্যাপক অসন্তোষ দেখা যায়। অনেক ইরাকিরই অভিযোগ এসব নেতারা রাষ্ট্রীয় অর্থে নিজেরা ধনী হয়েছেন। এমন পরিস্থিতিতে স্বাভাবিক সময়ের কয়েক মাস আগেই রবিবারের নির্বাচনটি হয়। কিন্তু এ দিন ভোটারের উপস্থিত অত্যন্ত কম ছিল। রাজধানী বাগদাদসহ কয়েকটি প্রদেশের ভোট গণনা থেকে পাওয়া এবং স্থানীয় সরকারী কর্মকর্তাদের ঘোষিত প্রাথমিক ফলাফলে দেখা গেছে, ইরাকি পার্লামেন্টের ৩২৯টি আসনের মধ্যে সোমবার পর্যন্ত ৭০টিরও বেশি আসনে জয়ী হয়েছেন সদরের দলের প্রার্থীরা। প্রাথমিক ফলাফল দেখিয়েছে, ২০১৯ এর গণবিক্ষোভের প্রতিনিধিত্ব করা প্রার্থীরা বেশ কয়েকটি আসনে জয় পেয়েছেন। বিপরীতে ওই গণবিক্ষোভের সময় প্রায় ৬০০ জনকে হত্যার অভিযোগের মুখে থাকা মিলিশিয়া গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে সম্পর্কিত ইরান-সমর্থিত দলগুলো ধাক্কা খেয়েছে, তাদের আসন আগের চেয়ে কমে গেছে বলে প্রাথমিক ফলাফলে দেখা গেছে ও নির্বাচনী কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। কুর্দি দলগুলো ৬১ আসনে জয় পেয়েছে। এর মধ্যে ইরাকের স্বায়ত্তশাসিত কুর্দি অঞ্চলের সরকারে প্রাধান্য বিস্তার করে থাকা কুর্দিস্তান ডেমোক্র্যাটিক পার্টি ৩২টি আসন পেয়েছে। তাদের প্রতিদ্বন্দ্বী প্যাট্রিয়টিক ইউনিয়ন অব কুর্দিস্তান পার্টি ১৫টি আসনে জয় পেয়েছে। ইরাকের পার্লামেন্টের সুন্নি স্পিকার মোহাম্মদ আল-হালবৌউসির তাকাদ্দুম জোট ৩৮টি আসনে জয় পেয়েছে বলে ইরাকের রাষ্ট্রায়ত্ত বার্তা সংস্থা জানিয়েছে। এতে পার্লামেন্টে দ্বিতীয় বৃহত্তম দল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে তারা। সাবেক প্রধানমন্ত্রী মালিকির নেতৃত্বাধীন ‘স্টেট অব ল’ জোট ৩৭টি আসনে জিতে তৃতীয় অবস্থানে আছে। সোমবার পাওয়া এই ফলাফলে এমন ধারণা পাওয়া যাচ্ছে যে এই নির্বাচনেও ইরাকের ক্ষমতার ভারসাম্যের নাটকীয় কোনো পরিবর্তন হচ্ছে না।
ইরাকের নির্বাচনে শিয়া মুসলিম ধর্মীয় নেতা সদরের দল সবচেয়ে বেশি এগিয়ে
0
Share.