ডেস্ক রিপোর্ট: ইরাকের পার্লামেন্টে দেশটিতে মোতায়েনকৃত মার্কিন সেনাদের ফিরিয়ে নেওয়ার আহ্বানের প্রেক্ষিতে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। বৃহস্পতিবার ওয়াশিংটন বলেছে, ইরাকে সেনা মোতায়েনের জন্য দেশটির সরকারের সঙ্গে চুক্তি হয়েছে, দেশটির পার্লামেন্টের সঙ্গে নয়। আনাদোলু এজেন্সির বরাতে এখবর জানিয়েছে মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক সংবাদমাধ্যম মিডল ইস্ট মনিটর। ইসলামিক স্টেট (আইএস) বিরোধী সামরিক জোটে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিশেষ দূত জেমস জেফ্রি বলেন, আমরা বারবার বলে আসছি ইরাক থেকে সেনা প্রত্যাহারে কোনও আগ্রহ নেই। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এটি ইরাকের সিদ্ধান্ত। ভবিষ্যতে ইরাকে মার্কিন ও জোট সেনাদের উপস্থিতির বিষয়ে তাদেরকেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে হবে। জেমস জেফ্রি আরও বলেন, আমরা এটি স্বীকার করছি। তবে আমরা আলোচনায় বসা ও প্রত্যাহার নিয়ে কথা বলতে আগ্রহী নই। ইরাকে যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কিত কোনও আলোচনায় যদি ইরাকিরা বসতে চায় তাহলে আমরা মনে করি তা উভয় দেশের পুরো সম্পর্কে হবে। যা শুধু সেনা প্রত্যাহারের বিষয়টি ছাড়িয়ে যাবে। বাগদাদে ইরানি জেনারেল কাসেম সোলাইমানি হত্যার পর জানুয়ারির শুরুতে ইরাকের পার্লামেন্টে দেশটির আইনপ্রণেতারা একটি ঐচ্ছিক প্রস্তাবনা পাস করেন মার্কিন সেনাদের ফিরিয়ে নেওয়ার জন্য। কিন্তু জেফ্রি দাবি করেছেন, ২০১৪ সালের যে চুক্তির আওতায় মার্কিন ও জোট সেনারা অবস্থান করছেন তা ইরাকের সরকারের সঙ্গে স্বাক্ষরিত হয়েছে, দেশটির পার্লামেন্টের সঙ্গে নয়। এটি সরকারে সঙ্গে সরকারের চুক্তি। যাতে পার্লামেন্ট প্রত্যক্ষ বা আনুষ্ঠানিকভাবে সম্পৃক্ত নয়। এর ভিত্তিতেই যুক্তরাষ্ট্রে সেখানে অবস্থান করছে। তিনি বলেন, ফলে দেশটিতে আমাদের উপস্থিতি নিয়ে যে কোনও আলোচনা হবে ইরাকের সরকারের সঙ্গে।
ইরাকে সেনা মোতায়েনের চুক্তি পার্লামেন্ট নয়, সরকারের সঙ্গে: যুক্তরাষ্ট্র
0
Share.