ডেস্ক রিপোর্ট: ইরাকের মার্কিন দূতাবাসে হামলার জন্য ইরানকে চরম মূল্য দিতে হবে বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। নতুন বছরের প্রথম দিন বুধবার টুইটারে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এমন হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন। টুইটে ট্রাম্প বলেন, আমাদের যে কোনও স্থাপনায় প্রাণহানি বা ক্ষয়ক্ষতির পুরো দায়দায়িত্ব ইরানকে বহন করতে হবে। তাদের চরম মূল্য দিতে হবে। এটা সতর্কতা নয়, এটা হুঁশিয়ারি। এর আগে আরেক টুইটে ট্রাম্প বলেন, ইরান একজন আমেরিকান ঠিকাদারকে হত্যা করেছে। অনেকে আহত হয়েছে। আমরা শক্ত প্রতিক্রিয়া জানালাম এবং সবসময়ই জানাবো। ইরান এখন ইরাকের মার্কিন দূতাবাসে হামলার চেষ্টা করছে। এর পুরো দায়দায়িত্ব তাদেরই নিতে হবে। আশা করি, দূতাবাস রক্ষায় ইরাক সরকার তার বাহিনী ব্যবহার করবে এবং আমাদের এমনটাই জানানো হয়েছে।এদিকে মঙ্গলবার ইরাকের মার্কিন দূতাবাসে হামলার পর দেশটিতে বাড়তি সেনা মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির সংবাদমাধ্যম এবিসি নিউজ জানিয়েছে, ইনফ্যানট্রি ব্যাটলিয়নের ৭৫০ জন সেনাকে অবিলম্বে মধ্যপ্রাচ্যে মোতায়েনের অনুমোদন দিয়েছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী মার্ক এসপার। মঙ্গলবার রাতে এক বিবৃতিতে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রীর বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ৮২তম এয়ারবর্ন ডিভিশনের এই অতিরিক্ত সেনাদের আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই মোতায়েন করা হবে। যুক্তরাষ্ট্রের কর্মী ও স্থাপনায় হামলার আশঙ্কা বেড়ে যাওয়ার প্রেক্ষিতে এই সেনা মোতায়েন যথাযথ।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর মঙ্গলবার বাগদাদের মার্কিন দূতাবাস কম্পাউন্ডে অগ্নিসংযোগ করে একদল বিক্ষোভকারী। সম্প্রতি ইরাকে মার্কিন বিমান হামলার প্রতিবাদে অনুষ্ঠিত এই বিক্ষোভে ‘আমেরিকা নিপাত যাক’ স্লোগান দেওয়া হয়। আগুন ধরিয়ে দেয় যুক্তরাষ্ট্রের পতাকা ও দূতাবাসের দেয়ালে। তবে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র এবিসি নিউজকে বলেছেন, বাগদাদে সব মার্কিন কর্মী সুরক্ষিত আছেন এবং দূতাবাস খালি করার কোনও পরিকল্পনা নেই। পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও বলেছেন, মার্কিন কর্মকর্তারা দূতাবাসেই অবস্থান করবে। ইরাকের নেতারা দেশটিতে বসবাসরত মার্কিন নাগরিক ও সম্পদের নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দিয়েছেন। সূত্র: আল জাজিরা