ডেস্ক রিপোর্ট: ইরানের পরমাণু প্রকল্প এবং একজন সামরিক বিজ্ঞানীর ওপর হওয়া হামলার সঙ্গে ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের সম্পর্ক রয়েছে। এমন ইঙ্গিতই দিয়েছেন সম্প্রতি অবসরে যাওয়া মোসাদের প্রধান ইয়োসি কোহেন।ইসরায়েলের চ্যানেল টুয়েলভকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ তথ্য দেন। এটি একটি অনুসন্ধানী অনুষ্ঠান যা বৃহস্পতিবার রাতে প্রচারিত হয়। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর দিন যখন শেষের দিকে তখনই এমন ইঙ্গিত দিলেন ইয়োসি।জানা যায়, ওই সাক্ষাৎকারে ইরানের পরমাণু কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত অন্য বিজ্ঞানীদের জন্যেও স্পষ্ট হুঁশিয়ারি বার্তা দেয়া হয়েছে। ইয়োসি ইঙ্গিত দিয়েছেন, ইরানের পরমাণু কার্যক্রম নিয়ে কোনো চুক্তি বা দর কষাকষির চেষ্টা করা কূটনীতিকদেরও হত্যা করা হতে পারে।বাইডেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ক্ষমতা গ্রহণের পর ইরানের সঙ্গে বাতিল করা পরমাণু চুক্তিতে যুক্তরাষ্ট্রকে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। ধারণা করা হচ্ছে, এটি থামাতেই ইসরায়েল তৎপর হয়ে উঠেছে। ইয়োসি বলেন, ইরানের পরমাণু বিজ্ঞানীরা যদি এখন তাদের চাকরি পরিবর্তন করেন তাহলে তাদেরকে ইসরায়েল কিছুই বলবে না।গত বছরই ইরানের নাতাঞ্জ পরমাণু প্রকল্পে একাধিক হামলার ঘটনা ঘটেছে। তবে এটি এমনভাবে নকশা করা হয়েছে যাতে বিমান হামলার মাধ্যমে এটি ধ্বংস করা না যায়। কিন্তু ২০২০ সালের জুলাই মাসে অজ্ঞাত এক বিস্ফোরণে ওই পরমাণু প্রকল্প ভয়াবহ ক্ষতিগ্রস্থ হয়। চলতি বছরের এপ্রিলে আরেকটি বিস্ফোরণে এই প্রকল্পের ইউরেনিয়াম মজুদাগার ধ্বংস হয়ে যায়।নভেম্বরে ইরানি বিজ্ঞানী মোহসেন ফাকিরজাদেহকে হত্যা নিয়েও আলোচনা করেন কোহেন। মোহসেনকে বলা হতো, ইরানের পরমাণু প্রকল্পের জনক। তিনি কয়েক দশক ধরে দেশটির সামরিক পরমাণু প্রকল্পের নেতৃত্ব দিয়েছেন। অনেকেরই ধারণা, এই হত্যাকাণ্ডের মধ্য দিয়ে ইরানের পরমাণু কার্যক্রমকে কয়েক বছর পিছিয়ে দেয়া গেছে। তাকে হত্যায়ও ব্যবহৃত হয়েছিল সময়ের সবথেকে আধুনিক স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র।এ ছাড়া, ইরানের সামরিক নথি জব্দ নিয়েও কথা বলেন তারা। কোহেন জানান ৩২টি সংরক্ষিত স্থান থেকে এসব নথি চুরি করা হয়। এগুলোকে স্ক্যান করে পাঠিয়ে দেয়া হয় অজ্ঞাত স্থানে। তবে মোসাদের কাছে এর বেশিরভাগই রয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন কোহেন।
ইরানি পরমাণু প্রকল্পে হামলা ও বিজ্ঞানী হত্যাকাণ্ডে মোসাদ জড়িত
0
Share.