ইসরায়েলি অভিযানের সময় ফিলিস্তিনি যুবক নিহত

0

ডেস্ক রিপোর্ট: অধিকৃত পশ্চিম তীরের উত্তরাঞ্চলীয় জেনিন শহরে ইসরায়েলি অভিযানের সময় এক ফিলিস্তিনি যুবক নিহত হয়েছে। শুক্রবার সকালে ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন নিহত ব্যক্তির নাম মতিন দাবায়া (২০)। খবর আল জাজিরার। মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মোহাম্মদ আওয়াদেহ বলেছেন, মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে যুবকটি মারা যায়। শুক্রবার স্থানীয় সময় সকাল ৮টায় কয়েক ডজন ইসরায়েলি সাঁজোয়া যান জেনিনে হামলা চালানোর পরপরই এই হত্যাকাণ্ড ঘটে। এই সময় ফিলিস্তিনি যুবকদের সঙ্গে সেনাদের সংঘর্ষ শুরু হয়। আবদুল্লাহ আল-আহমাদ নামে ৪০ বছর বয়সী এক চিকিত্সকও মাথায় গুলি লেগে গুরুতর আহত হয়েছেন। বর্তমানে তিনি জেনিনের পাবলিক হাসপাতালে গুরুতর অবস্থায় রয়েছেন বলে আওয়াওদেহ জানিয়েছেন। স্থানীয় সাংবাদিকদের শেয়ার করা ভিডিওতে ইসরায়েলি বাহিনীকে অ্যাম্বুলেন্স ক্রুদের ওপর গুলি চালাতে দেখা গেছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, জেনিনে শুক্রবার সকালে লাইভ ফায়ারে কমপক্ষে পাঁচজন আহত হয়েছে। এর আগে রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা ওয়াফা ঘোষণা করেছিল, গত মাসে ইসরায়েলি বাহিনীর হাতে গ্রেপ্তারের সময় এক ফিলিস্তিনি কিশোর আহত হয়ে পরবর্তীতে মারা যায়। ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের বন্দি কমিশন জানিয়েছিল নিহত কিশোরের নাম মোহাম্মদ মাহের ঘাওয়াদরেহ (১৭)। জেনিন শরণার্থী শিবিরে থাকা ওই কিশোর ইসরায়েলের তেল হাশোমার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। ৫ সেপ্টেম্বর অধিকৃত জর্ডান উপত্যকায় ইসরায়েলি সৈন্য ভর্তি একটি বাসে গুলি চালানোর অভিযোগে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। ঘটনায় সাতজন আহত হয়। ফিলিনিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মতে, আগস্টে গাজায় ইসরায়েলের তিন দিনের হামলায় ৫১ ফিলিস্তিনিসহ বছরের শুরু থেকে অবৈধভাবে দখলকৃত পশ্চিম তীর এবং গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনীর হাতে কমপক্ষে ১৬০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। ইসরায়েল পশ্চিম তীরে প্রায়-প্রতিদিন অভিযান চালাচ্ছে। মূলত জেনিন এবং নাবলুস শহরে কেন্দ্র করে এই অভিযান গুলো চালানো হচ্ছে এবং সেখানে ফিলিস্তিনি সশস্ত্র প্রতিরোধ আরও সংগঠিত হচ্ছে। স্থানীয় এবং আন্তর্জাতিক অধিকার গোষ্ঠীগুলি ১৯৬৭ সালে দখল করা ফিলিস্তিনি ভূখন্ডে সহিংসতা চালানোর জন্য ইসরায়েলের নিন্দা করেছে। হিউম্যান রাইটস ওয়াচের মতে, সিনিয়র ইসরায়েলি রাজনীতিবিদরা ইসরায়েলি সৈন্য ও পুলিশকে ফিলিস্তিনিদের হত্যা করার জন্য উৎসাহিত করেছেন যেগুলোকে তারা ইসরায়েলিদের ওপর হামলা করছে বলে সন্দেহ করছে। জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের কার্যালয় রিপোর্টে উল্লেখ করেছে, ইসরায়েলি বাহিনী ‘প্রায়ই আন্তর্জাতিক মান লঙ্ঘন করে নিছক সন্দেহে বা সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করে’।

Share.