ঢাকা অফিস:গাজায় ফিলিস্তিনিদের ওপর পরিচালিত জাতিগত নিধন অভিযান সব রেড লাইন অতিক্রম করে ফেলেছে বলে সতর্ক করেছে বিপ্লবী ছাত্র পরিষদ। সংগঠনটি বলছে, গাজাকে পুরোপুরি গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। ঘরবাড়ি রাস্তাঘাট সব কিছু মুছে ফেলা হয়েছে। এখন বোমার আঘাতে শূন্যে ফিলিস্তিনি শিশুদের লাশ উড়ছে। তার পরও ইসরায়েলের আগ্রাসন বন্ধ হচ্ছে না; বরং আমেরিকার প্রকাশ্য মদদে তারা ক্রমাগত ফিলিস্তিনিদের হত্যা করে যাচ্ছে।সোমবার (৭ এপ্রিল) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যে আয়োজিত এক বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে এসব কথা বলা হয়।গাজায় আমেরিকার প্রকাশ্য মদদে ইসরায়েলের পরিচালিত গণহত্যা বন্ধের দাবিতে বিশ্বজুড়ে ধর্মঘট পালনের অংশ হিসেবে আজ সারাদেশে ডাকা ধর্মঘট পালন উপলক্ষে এ বিক্ষোভ আয়োজন করে বিপ্লবী ছাত্র পরিষদ।দুপুরে মধুর ক্যান্টিন থেকে সংগঠনের নেতাকর্মীরা মিছিল বের করে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যে গিয়ে সমাবেশে মিলিত হয়।সমাবেশে বক্তারা ইসরায়েলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ সরকারকে কঠোর অবস্থান গ্রহণ করতে বলেন। এর অংশ হিসেবে অবিলম্বে বাংলাদেশের পাসপোর্টে ‘এক্সেপ্ট ইসরাইল’ শব্দ দুটি ফের মুদ্রিত করতে সরকারের কাছে দাবি জানান।তারা বলেন, গাজাকে ধংসস্তূপে পরিণত করে আমেরিকা ও ইসরায়েল সাময়িক উল্লাস করছে। কিন্তু মহান আল্লাহর ঘোষণা অনুযায়ী ফিলিস্তিনিরাই বিজয়ী হবে। সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় বিপ্লবী পরিষদের সিনিয়র যুগ্ম-আহ্বায়ক মোহাম্মদ শামসুদ্দিন, যুগ্ম-আহ্বায়ক সাইয়েদ কুতুব, সহকারী সদস্য সচিব মোহাম্মদ অলিদ বিন সিদ্দিক তালুকদার, ডা. মাসুম বিল্লাহ, সৌরভ শাকিল, বিপ্লবী ছাত্র পরিষদের আহ্বায়ক আবদুল ওয়াহেদ, সদস্য সচিব ফজলুর রহমান, যুগ্ম-আহ্বায়ক ইয়ামিন সরকার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার যুগ্ম-আহ্বায়ক গোলাম নূর শাফায়েতুল্লাহ ও নিয়াজ আহমদ, সদস্য সচিব মুহিব মুশফিক খান, সহকারী সদস্য ফারজায়ান আহসান কৃতিত্ব প্রমুখ।
‘ইসরায়েল এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে, যা আর সহ্য করার মতো নয়’
0
Share.