ডেস্ক রিপোর্ট: ইয়েমেনের গত সাত বছর ধরে চলা যুদ্ধে লড়াইরত পক্ষগুলো সারা দেশব্যাপী সাময়িক যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে বলে জাতিসংঘের প্রতিনিধি জানিয়েছেন। জাতিসংঘের বিশেষ প্রতিনিধি হ্যান্স গ্রুন্ডবার্গ জানিয়েছেন, এই যুদ্ধবিরতির সময় দেশটির হুতি অধিকৃত এলাকাগুলোর জন্য জ্বালানি আমদানির ও রাজধানী সানা থেকে কিছু ফ্লাইট পরিচালনারও অনুমোদন মিলেছে। ইয়েমেন যুদ্ধে এ পর্যন্ত এক লাখেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে এবং লাখ লাখ মানুষ অনাহারের কবলে পড়েছে। এর আগে ২০১৬ সালে শান্তি আলোচনার সময় শেষবার দেশটি সাময়িক যুদ্ধবিরতি দেখেছিল। বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলছে, জাতিসংঘের মধ্যস্থতায় সৌদি আরবের নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট ও ইরানের মিত্র হুতি গোষ্ঠীর মধ্যে হওয়া এ চুক্তি লড়াই বন্ধে এ পর্যন্ত হওয়া সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ। জাতিসংঘের প্রতিনিধি গ্রুন্ডবার্গ জানিয়েছেন, শনিবার স্থানীয় সময় সকাল ৭টা (১৬০০ জিএমটি) থেকে দুই মাসের এ যুদ্ধবিরতি শুরু হবে আর পক্ষগুলোর সম্মতি থাকলে এর মেয়াদ বাড়ানো হবে। স্থায়ী যুদ্ধবিরতির জন্য চাপ অব্যাহত রাখবেন বলে জানিয়েছেন তিনি। টানা যুদ্ধের কারণে ইয়েমেনের অর্থনীতি ও স্বাস্থ্যসহ মৌলিক পরিষেবা ভেঙে পড়েছে। এতে প্রায় ৩ কোটি জনসংখ্যার দেশটির ৮০ শতাংশ ত্রাণের ওপর নির্ভরশীল হতে বাধ্য হয়েছে। ইয়েমেনের যুদ্ধকে সুন্নি মুসলিম প্রধান সৌদি আরব ও শিয়ার মুসলিম প্রধান ইরানের মধ্যকার ছায়াযুদ্ধ হিসেবে দেখা হয়। আলোচনায় অংশ নেওয়া হুতি পক্ষের শীর্ষ আলোচক মোহাম্মদ আবদুল সালাম এ যুদ্ধবিরতিকে স্বাগত জানিয়েছেন। শুক্রবার সৌদি নেতৃ্ত্বধীন জোটও এ যুদ্ধবিরতিকে স্বাগত জানিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও এ যুদ্ধবিরতি চুক্তিকে স্বাগত জানিয়েছেন।
ইয়েমেনে ২ মাসের যুদ্ধবিরতি ঘোষণা
0
Share.