ঈদের ছুটিতে চাঁপাইনবাবগঞ্জে বিনোদন কেন্দ্রগুলিতে উপচে পড়া ভিড়

0

বাংলাদেশ থেকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি:  ঈদুল ফিতরের লম্বা ছুটিতে দুই বছর পর এবার কর্মস্থল ত্যাগ করে স্বজনদের সাথে ঈদ উৎসব পালনে একত্রিত হয়। করোনার কারণে গত দুই বছর চাঁপাইনবাবগঞ্জের বিনোদন কেন্দ্রগুলি বন্ধ থাকায় বিনোদন প্রেমীদের ভিড় না থাকলেও এবারে জেলার প্রতিটি বিনোদন কেন্দ্রে উপচে পরা ভিড় দেখা যাচ্ছে। ধনী, দরিদ্র, পাড়া-প্রতিবেশী, বন্ধু বান্ধব মিলে ঈদের দিন বিকাল থেকেই বিনোদন কেন্দ্র গুলিতে ভিড় জমাতে থাকে। ঈদের চতুর্থ দিনেও শহরের বটতলা হাট এলাকায় নির্মিত জোসনারা পার্কসহ মহানন্দা সেতু, রাবার ড্যাম প্রকল্প এলাকা ও শেষ হাসিনা সেতু বিনোদন প্রেমীদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠেছে। জানা গেছে, ঈদের দিন থেকে জোসনারা পার্ক চালু করায় শহরের একমাত্র এই বিনোদন কেন্দ্রে নারী, শিশু ও পুরুষসহ উপচেপড়া ভিড় ভিন্নমাত্র যোগ করেছে। সদর উপজেলার চরাঞ্চল চরবাগডাঙ্গা থেকে পার্কে সপরিবারে ঘুরতে আসা রাকিব উদ্দিন জানালেন, মহানন্দা নদীর উপর শেখ হাসিনা সেতু নির্মিত হওয়ায় চরাঞ্চলের মানুষের কাছে চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরে যাতায়াত সুবিধা বেড়েছে। তাই সহজ যোগাযোগের কারণে অটোরিকশা নিয়ে তিনি সপরিবারে এই পার্কে ঘুরতে এসেছেন। তিনি জানান, শহরে কোনো বিনোদন কেন্দ্র না থাকায় বিভিন্ন মানুষজন এতদিন শেখ হাসিনা সেতুতে বিনোদন লাভের জন্য আসতেন। কিন্তু এবার শহরের বটতলাহাট নামক স্থানে একমাত্র বিনোদন কেন্দ্র জোসনারা পার্ক নির্মিত হওয়ায় এবার তারা এখানে বেড়াতে এসেছেন। জোসনারা পার্কের কর্ণধার চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভার মেয়র মোখলেসুর রহমান জানালেন, এতদিন শহরসহ চরাঞ্চলের মানুষের বিনোদনের জন্য নির্দিষ্ট কোনো স্থান ছিল না। তাই বিনোদন প্রেমীদের কথা চিন্তা করে তিনি জোসনারা পার্ক গড়ে তুলেছেন এবং স্বল্পমূল্যে বিভিন্ন রাইডে প্রান্তিক মানুষের বিনোদনের স্বাদ পূরণের চেষ্টা করেছেন। অন্যদিকে, শহরের মহানন্দা সেতু ও রাবার ড্যাম এলাকায়ও বিনোদন প্রেমীদের ভিড় দেখা গেছে। রাবার ড্যাম এলাকায় ঘুরতে আসা শহরের পুরাতন বাজার এলাকার কামাল সুকরানা জানান, শহরের বিনোদনে জায়গার বড় অভাব, তাই তিনি এখানে ঘুরতে এসেছেন। এতে করে তিনি বিনোদন গ্রহণ করলেন পাশাপাশি রাবার ড্যাম প্রকল্প সম্পর্কের ধারণা লাভ করলেন। অপরদিকে, মহানন্দা সেতুর বারঘরিয়া নামক স্থানে চটপটি বিক্রেতা সুমন আলী জানালেন, ঈদের দিন থেকে এই এলাকায় মানুষের ঢল নামায় তিনি প্রতিদিন ২০ হাজার টাকার চটপটি বিক্রি করছেন। এতে তার আয় কয়েকগুণ বেড়েছে।

Share.