ঢাকা অফিস: দেশে প্রতিদিন গড়ে পাঁচ বছরের কম বয়সী ৩০ জন শিশু পানিতে ডুবে মারা যায়। আর ১৮ বছরের কম বয়সীদের হিসেবে ধরলে প্রায় ৪০ জন শিশুর মৃত্যু হয়। বাংলাদেশ স্বাস্থ্য ও ইনজুরি সমীক্ষা ২০১৬-এর বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে ন্যাশনাল অ্যালায়েন্স ফর ড্রনিং প্রিভেনশন (এনডিপি)। বাড়িতে ঈদের ছুটি কাটাতে গিয়ে পানিতে ডুবে শিশু মৃত্যু প্রতিরোধে জনসচেতনতার কোনো বিকল্প নেই। তাই সবাইকে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে সংগঠনটি। বুধবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) আয়োজিত ঈদুল ফিতর উদযাপন উপলক্ষে দীর্ঘ ছুটির সময়ে শিশুদের পানিতে ডুবে মৃত্যু প্রতিরোধে নাগরিকদের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টির বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ আহ্বান জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে এনএডিপির আহ্বায়ক সদরুল হাসান মজুমদার বলেন, অত্যন্ত দুঃখজনক হলেও সত্য যে, পানিতে ডুবে শিশু মৃত্যুর ঘটনা ঘটে বাড়ির কাছের জলাধার, যেমন- পুকুর বা খালে, যা ঘর থেকে গড়ে প্রায় ৪০ কদম দূরে। এই অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যুর প্রায় ৬০ শতাংশ ঘটে থাকে সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১টার মধ্যে। সে সময় পরিবারের সদস্যরা বিশেষ করে মায়েরা প্রাত্যহিক কাজে ব্যস্ত থাকেন। অর্থাৎ এই সময়টাতে শিশুদের বিশেষ করে অনূর্ধ্ব ৫ বছর বয়সী শিশুদের দেখভাল করার সার্বক্ষণিক কেউ থাকে না। আমাদের দেশে সামগ্রিকভাবে বিশেষ করে গ্রামীণ জনপদে শিশুদের প্রাতিষ্ঠানিক পরিচর্যার কোনো ব্যবস্থা গড়ে উঠেনি জানিয়ে সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ঈদের ছুটি কাটাতে শহরের অধিকাংশ মানুষ নাড়ির টানে গ্রামে যাবেন। শহুরেজীবনে অভ্যস্ত অনেক শিশুই সাঁতার জানে না। অথচ ছুটির সময়ে গ্রামের বাড়িতে বেড়ানোর একটা অন্যতম আকর্ষণ হলো উন্মুক্ত জলাধারে (পুকুরে বা খালে-নালায়) গোসল করা। এই সময়ে প্রয়োজন শিশুদের অধিকতর পরিচর্যা (সুপারভিশন) করা এবং নিরবচ্ছিন্নভাবে নজরে রাখা। এ সময় দেশের সব ভ্রমণপিপাসু মানুষ ও সাধারণ জনগণ যারা আসন্ন ঈদের ছুটি কাটানোর প্রস্তুতি নিচ্ছেন তাদেরকে নিজ নিজ সন্তানদের পানিতে ডুবা প্রতিরোধে বিশেষ সতর্কতা ও নজরদারি বৃদ্ধির আহ্বান জানানো হয়।