ঢাকা অফিস: হাজারীবাগের একটি বাসা থেকে দুই বোনের রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। বড় বোনকে খুন করে ছোট বোন আত্মহত্যা করেছেন বলে পরিবার অভিযোগ করেছে। তবে পুলিশ মৃত্যুর কারণ নিয়ে এখনো কিছু জানায়নি। পরিবারের দাবি, মানসিক ভারসাম্যহীন বোনের দেখাশুনা করতে গিয়ে নিজেও মানসিক রোগীতে পরিণত হন ছোট বোন নাসরিন। ছুরি দিয়ে বড় বোনকে হত্যার পর নিজেও সেই ছুরি দিয়ে আত্মহত্যা করেন তিনি। আর তার আগে হত্যার এই সংবাদ ট্রিপল নাইনে ফোন করে জানান খোদ নাসরিন। রোববার রাত সাড়ে ১১টায় খবর পেয়ে হাজারীবাগের কালুনগরের ওই বাসায় উপস্থিত হয় পুলিশ। উদ্ধার করা হয় জেসমিন আক্তার নামে এক নারীর রক্তাক্ত মরদেহ। তার ছোট বোন নাসরিন আক্তারকেও রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হলে তাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। পরিবার বলছে, মানসিক রোগী বড় বোন জেসমিনকে দেখাশোনা করতো ছোট বোন নাসরিন। এক সময় তিনিও হয়ে যান মানসিক ভারসাম্যহীন। নিহতদের ভাইয়ের দাবি, বড় বোনকে ছুরি দিয়ে হত্যা করে নিজের শরীরেও জখম করে সে। পরিবারের লোকজন বাসায় থাকলেও এ ঘটনায় কিছুই টের পাননি তারা। প্রতিবেশীরা জানান, ৭ বছর ধরে পরিবারটি এই বাসায় ভাড়া থাকলেও দুই বোনকে তারা দেখেননি কখনোই। ধানমন্ডি জোনে সহকারী পুলিশ কমিশনার আবু তালেব বলেন, নিহত দুজনের শরীরেই ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। তবে তাদের মৃত্যু কীভাবে হয়েছে সে বিষয়ে তদন্ত ছাড়া কিছু বলতে চাননি তিনি। মানসিক অসুস্থতার কারণে তাদের কেউ-ই বিয়ে করেননি।
একটি বাসা থেকে দুই বোনের রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার
0
Share.