এক কোটি শিশু আর স্কুলে ফিরবে না, সবথেকে ভয়াবহ অবস্থা পাকিস্তানসহ ১২ দেশের

0

ডেস্ক রিপোর্ট: করোনার ফলে বিশ্বজুঁড়ে প্রায় ৯৭ লাখ শিশু আর কখনও স্কুলে ফিরবে না। বৃটেনভিত্তিক এনজিও সেভ দ্য চিকিড্রেনের সাম্প্রতিক রিপোর্ট তাই বলছে। করোনা পরিস্থিতি সামলাতে বিশ্বের গরিব দেশগুলি শিক্ষাখাতে খরচ কমাবে। সেই অর্থ খরচ করা হবে বাকি জায়গায়। তার ফলে প্রায় ৯৭ লাখ বাচ্চা আর কখনও স্কুলের মুখ দেখবে না। একইসঙ্গে নয় থেকে ১২ কোটি শিশুর পরিবার গরিব হবে। সেভ দ্য চিলড্রেনের মতে, শিক্ষাক্ষেত্রে অভূতপূর্ব জরুরি অবস্থা আসতে চলেছে। এ খবর দিয়েছে ডয়েচে ভেলে। খবরে বলা হয়েছে, সেভ দ্যা চিলড্রেনের দাবি, বিশ্বের ১২টি দেশের অবস্থা সবচেয়ে খারাপ।বাকি গরিব বা মাঝারি আয়ের দেশের অবস্থাও ভাল নয়। সংগঠনটির হিসেব অনুযায়ী, করোনার ফলে দেশগুলি শিক্ষাখাতে ৭ হাজার ৭০০ কোটি ডলার কাটছাঁট করবে। তার প্রভাব পড়বে প্রায় এক কোটি শিশুর ওপর। তাদের জীবন থেকে স্কুল হারিয়ে যাবে। যে ১২টি দেশের অবস্থা সব চেয়ে খারাপ, সেই তালিকায় আছে, পাকিস্তান, আফগানিস্তান, নাইজার, নাইজেরিয়া, সেনেগাল, আইভরি কোস্ট, ইয়েমেন, গিনি, মরিটেনিয়া, লাইবেরিয়া, চাদ।ইউনেস্কোর তথ্য উদ্ধৃত করে সংগঠনটি জানিয়েছে, গত এপ্রিলে মোট ১৬০ কোটি তরুণ-তরুণীর স্কুল, কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ের দরজা বন্ধ হয়ে সেছে। অর্থাৎ, প্রায় ৯০ শতাংশ ছাত্র-ছাত্রী করোনার ফলে প্রভাবিত হয়েছে। অনেক দেশে এটা সাময়িক বন্ধ হওয়া। করোনা পরিস্থিতি ভালো হলে তা আবার খুলবে। কিছু দেশে খুলতেও শুরু করেছে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, মানুষের ইতিহাসে এই প্রথম বিশ্বজুড়ে শিশুদের পুরো প্রজন্মের শিক্ষা ব্যবস্থায় আঘাত লেসেছে। তাই সংগঠনের রিপোর্টের শিরোনাম হলো ‘আমাদের শিক্ষা বাঁচাও’। রিপোর্ট বলছে, নয় থেকে ১১ কোটি ৭০ লাখ বাচ্চা আরও গরিব হয়ে যাবে। ফলে তারা আর স্কুলে থাকবে না। তারা বাধ্য হয়ে পরিবারকে সাহায্য করার জন্য কাজ করবে। দরিদ্র হয়ে যাওয়ার কারণে মেয়েদের তাড়াতাড়ি বিয়ে দিয়ে দেয়ার প্রবণতা বাড়বে। সেই পরিবারে শিশুদের পড়াশুনা করানোর ক্ষমতাও থাকবে না। ফলে প্রায় এক কোটি শিশু আর স্কুলের মুখ দেখবে না। রিপোর্ট অনুসারে, ছেলেদের থেকে মেয়েদের অবস্থা আরও খারাপ হতে পারে। লিঙ্গ বৈষম্য বাড়বে। মেয়েদের শিশু অবস্থায় বিয়ে দেয়ার প্রবণতা বাড়বে। ফলে তারা বাধ্য হবে কম বয়সে গর্ভবতী হতে। এতে পূর্বেকার মতো মাতৃমৃত্যুহার বেড়ে যাবে। সেভ দ্য চিলড্রেনের রিপোর্টে বলা হয়েছে, এখন থেকে ২০২১-এর শেষ পর্যন্ত কম ও মাঝারি আয়ের দেশগুলি শিক্ষাখাতে সাত হাজার ৭০০ কোটি টাকা কমাবে।

Share.