ঢাকা অফিস: নেত্রকোনায় ৩৫ দিনের ব্যবধানে বড় দুটি ট্রলার দুর্ঘটনার ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে আজ নেত্রকোনার কলমাকান্দা উপজেলার বড়খাপন ইউনিয়নের রাজনগর এলাকার গুমাই নদীতে ট্রলার ডুবির ঘটনা ঘটেছে। এতে এখন পর্যন্ত ১০ জনের মরদেহ উদ্ধারের খবর পাওয়া গেছে। নিখোঁজ রয়েছে আরও অনেকে। ওই ট্রলারে মোট ৩৬ জন যাত্রী ছিল।এর আগে গেল মাসের পাঁচ আগস্ট নেত্রকোনার মদন উপজেলায় মিনি কক্সবাজার হিসাবে পরিচিতি পাওয়া উচিতপুরে বেড়াতে এসে গোবিন্দ শ্রী ইউনিয়নের রাঙালি কান্দা হাওরে ট্রলারডুবির ঘটনা ঘটেছিল। এতে এই দুটি দুর্ঘটনা মোট ২৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। আজকের এই ট্রলারডুবির ঘটনায় নিহতদের মধ্যে পাঁচজন শিশু, তিন নারী ও দুজন জন পুরুষ রয়েছেন। তাৎক্ষণিকভাবে তাদের পরিচয় পাওয়া যায়নি। নেত্রকোনার জেলা প্রশাসক কাজী মো. আবদুর রহমান জানান, ৩৬ জন যাত্রী নিয়ে সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা থানার মধ্যনগর থেকে নেত্রকোনার ঠাকুরাকোনা এলাকায় যাচ্ছিল একটি ট্রলার। পথে এই ট্রলারডুবির ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল কাজ করছে। তিনি আরও জানান, ট্রলারডুবির ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১০ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এদিকে গেল মাসের পাঁচ আগস্ট নেত্রকোনার মদন উপজেলায় মিনি কক্সবাজার হিসাবে পরিচিতি পাওয়া উচিতপুরে বেড়াতে এসে গোবিন্দ শ্রী ইউনিয়নের রাঙালি কান্দা হাওরে ট্রলারডুবিতে ১৭ জন নিহত হয়েছিলেন। ঘটনার দিন দুপুরে ময়মনসিংহসহ নেত্রকোনার বিভিন্ন এলাকা থেকে ঘুরতে আসা নানা বয়সের মাদরাসার শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও পরিবারের লোকজনসহ ৪৮ জন পর্যটক ট্রলারে ওঠে মদন উচিতপুর ঘাট থেকে রাজালীকান্দার রামদীঘা বিলে পৌঁছেতেই এ দুর্ঘটনা ঘটে। পর্যটনবাহী ট্রলারে অতিরিক্ত যাত্রী বোঝায় করায় ওই ট্রলারডুবির ঘটনা ঘটেছিল। নিহতদের মধ্যে একই পরিবারের রয়েছে ছয়জন ছিল। তাদের ৭ থেকে ১২ বছর বয়সী ছয়জন শিশু ছিল। নিহতরা ছিলেন মাহফুজুর রহমান (৪৫), শফিকুর রহমান (৪০), ইসা মিয়া (৪০), আজহারুল ইসলাম (৩৮), মাহমুদ মিয়া (১২), আসিফ (১৫), সামাআন (২০), রেজাউল করিম (১৬), মুজাহিদ মিয়া (১৭), হামিদুল (৩৫), সাইফুল ইসলাম রতন (৩০) জুবায়ের (২২), জহিরুল ইসলাম (৩৫), জাহিদ (২০), রাকিব (২০), লুবনা আক্তার (১০), জুলফা আক্তার (৭)। স্বাধ (২৬)। স্থানীয় ও প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, মদনের উচিৎপুর ঘাটে ট্রলার চালক অতিরিক্ত বোঝাই করে ২০/২৫ জনের নৌকায় ৪৮ জনের মতো যাত্রী তুলে মদনের সামনের হাওরে যায়। এ সময় প্রবল বাতাসে ও নৌকায় নড়াচড়া করার কারণে ট্রলারটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ডুবে যায়। তাদের মধ্যে সাঁতরে ৩০ জনের মতো তীরে উঠতে পারলেও বাকিরা ডুবে যায়। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় নেত্রকোনা ও মদন ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার খানে আলমের নেতৃত্বে ১৭টি মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
এক মাসের ব্যবধানে বড় দুটি ট্রলার দুর্ঘটনায় প্রাণ গেলো ২৭ জনের
0
Share.