এখন দিন-রাত খবর দেখছি -মাহিয়া মাহি

0

বিনোদন ডেস্ক: করোনায় আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা দিন দিন কেবল বাড়ছে। যে কারণে দেশে সাধারণ ছুটি বাড়ানো হয়েছে ২৫শে এপ্রিল পর্যন্ত। বাসায় থাকাকেই এই ভাইরাসের সব থেকে বড় প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা হিসেবে ধরা হচ্ছে। মরণঘাতি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি এড়াতে এবং সাধারণ মানুষকে উদ্বুদ্ধ করতে হোম কোয়ারেন্টিনে রয়েছেন দেশের শোবিজ জগতের তারকারাও। সেই তালিকায় রয়েছেন চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি। ২৩ দিন ধরে ঘরবন্দি রয়েছেন এই অভিনেত্রী। ঘরে বসেই সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে ভক্তদের নানা সচেতনতামূলক বার্তা দিচ্ছেন। প্রত্যেককে বাড়িতে নিরাপদে থাকার কথা বলছেন। মাহি বলেন, দিন দিন যেন আতঙ্ক বেড়েই চলছে। এর ভবিষ্যত কি হবে, তা আমরা কেউই জানি না। বাইরে বের হলেই মরণঘাতি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার আশংকা থেকে যায়। এই পরিস্থিতিতে সবার ঘরে অবস্থান করাটাই বুদ্ধিমানের কাজ হবে। আমি সবাইকে অনুরোধ করবো, প্লিজ ঘরে থাকুন। কারণ এই ভাইরাস থেকে বাঁচতে এর বিকল্প নেই। মাহি আরো বলেন, দেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত বাসা থেকে বের হবো না। কাজের মানুষদের অনেক আগেই ছুটি দিয়ে দিয়েছি। বাসার সব কাজ নিজেই করছি। ঘর গোছানোয় সময় দিচ্ছি। ফেসবুকের বন্ধুদেরও সময় দিচ্ছি। আগে টেলিভিশনে খবর দেখা হতো না, এখন দিন-রাত খবর দেখছি। করোনার আপডেট জানার চেষ্টা করছি। এভাবেই কাটছে সময়। বিশ্বব্যাপী আতঙ্ক সৃষ্টি করা এবং লাখ মানুষের প্রাণ কেড়ে নেয়া ভয়াবহ এই ভাইরাস থেকে একমাত্র সৃষ্টিকর্তার রহমত ছাড়া বাঁচা সম্ভব নয়। মাহি আরো বলেন, আমাদের সবার সচেতনতার জন্য যেসব নিয়ম পালনের কথা বলা হচ্ছে তা অবশ্যই অনুসরণ করতে হবে। সাবান দিয়ে বার বার হাত ধুতে হবে। মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। আর হাঁচি-কাশির সময় রুমাল অথবা টিস্যু ব্যবহার করতে হবে। এসব সঙ্গে না থাকলে হাতের কনুই ব্যবহার করতে হবে। করোনার নেতিবাচক প্রভাব ব্যাপক ভাবেই পড়ছে সবার জীবনে। বিশেষ করে যারা নিম্ন আয়ের মানুষ, তারা সব থেকে খারাপ অবস্থায় রয়েছেন। তাদের আয় নেই। খাবার নেই বাসায়। এ প্রসঙ্গে মাহি বলেন, যার যার সামর্থ অনুযায়ী অসহায় এসব মানুষের পাশে দাঁড়ানো উচিত। এটি আমাদের সবার দায়িত্ব। আসলে এটি এমন একটি অবস্থা যার মোকাবিলা সবার একসঙ্গে করতে হবে।

Share.