ঢাকা অফিস: করোনাভাইরাসসহ বিভিন্ন জটিল রোগে আক্রান্ত হয়ে এনটিভির যুগ্ম প্রধান বার্তা সম্পাদক আবদুস শহিদ ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। আজ রোববার বেলা পৌনে ১১টার দিকে রাজধানীর শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন জ্যেষ্ঠ এই সাংবাদিক।আবদুস শহিদের মৃত্যুতে এনটিভি পরিবারের পক্ষ থেকে চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক আলহাজ্ব মোহাম্মদ মোসাদ্দেক আলী গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন। তিনি আবদুস শহিদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং তাঁর শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন।আবদুস শহিদের বয়স হয়েছিল ৬৩ বছর। তিনি স্ত্রী ও এক ছেলে রেখে গেছেন। গত ২৫ জুলাই আবদুস শহিদের করোনাভাইরাসজনিত কোভিড-১৯ রোগ শনাক্ত হয়। শ্বাসকষ্ট বেড়ে যাওয়ায় ২৭ জুলাই তাঁকে রাজধানীর উত্তরায় অবস্থিত কুয়েত বাংলাদেশ মৈত্রী সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে ২৮ জুলাই তাঁকে শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) ভর্তি করা হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ তাঁর মৃত্যু হয়। ১৯৫৭ সালে লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলার তোরাবগঞ্জ গ্রামে আবদুস শহিদের জন্ম হয়। সৃজনশীল এই মানুষটি তাঁর দীর্ঘ কর্মজীবনে এনটিভিসহ দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমে কাজ করেছেন। সাংবাদিকদের নেতৃত্বেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন তিনি। ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন-ডিইউজের একাংশের সভাপতি হিসেবে সফলতার সঙ্গে নেতৃত্ব দেন আবদুস শহিদ। এ ছাড়া জাতীয় প্রেসক্লাব ও ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিসহ সাংবাদিকদের বিভিন্ন সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত থেকে সাংবাদিকদের অধিকার আদায়ে কাজ করে গেছেন তিনি। তিনি সাংবাদিকতার পাশাপাশি বিভিন্ন সামাজিক ও সেবামূলক কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।লক্ষ্মীপুরে গ্রামের বাড়িতে আবদুস শহিদ তাঁর মা-বাবার নামে আফিয়া-বারী হাফিজিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানা প্রতিষ্ঠা করেন। এনটিভির সংবাদকে গণমানুষের কাছে জনপ্রিয় করার পেছনে তাঁর ছিল বিশেষ ভূমিকা।
এনটিভির যুগ্ম প্রধান বার্তা সম্পাদক আবদুস শহিদের ইন্তেকাল
0
Share.