ডেস্ক রিপোর্ট: রাশিয়ার বিলিওনেয়ার ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে সরকারি কর্মকর্তা ও অভিজাত লোকজন পরীক্ষামূলক করোনাভাইরাসের একটি ভ্যাকসিন এপ্রিল থেকেই নিয়েছেন। রুশ সরকারের মহামারি গবেষণা সংস্থার গবেষকের বরাত দিয়ে সোমবার এক প্রতিবেদনে এমনটি জানিয়েছে বিশ্বখ্যাত সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গ। তবে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান ‘গামালেয়া ন্যাশনাল রিসার্চ সেন্টার ফর এপিডেমিওলজি অ্যান্ড মাইক্রোবায়োলজি’র ওই গবেষকের নাম উল্লেখ করেনি ব্লুমবার্গ।ওই গবেষক ব্লুমবার্গকে বলেছেন, আইনি পন্থায়ই পরীক্ষামূলক ভ্যাকসিনের ব্যবহার করা হয়েছে। তবে বিপুলসংখ্যক মানুষ এটি নিতে ভিড় করবে বিধায় কিছুটা রাখঢাক করে নির্দিষ্ট কিছু অভিজাত লোকজনকে তা দেওয়া হয়েছে।ভ্যাকসিন নিয়েছেন এমন অনেকেই অবশ্য তাঁদের অভিজ্ঞতা জানিয়েছেন। ‘এটি নেওয়ার পর জ্বর ও পেশিতে ব্যথা হয়েছে’, বলেছেন কয়েকজন। কয়েকজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, তাঁদের কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দেয়নি। কেউ কেউ অবশ্য চূড়ান্তভাবে পরীক্ষা- নিরীক্ষার ফল না হওয়ায় তা নেননি। ভ্যাকসিনটি নিয়েছেন এমন কয়েক ডজন ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলেছে ব্লুমবার্গ। তাঁদের কেউ নাম প্রকাশ করতে রাজি হননি।ভ্যাকসিনের পরীক্ষায় অভিজাতদের আগে সুযোগ দেওয়ার কথা অস্বীকার করেছেন গামালেয়া সেন্টারের প্রধান আলেক্সান্দার গিন্টসবার্গ। এমন কিছু তিনি জানেন না বলে রুশ বার্তা সংস্থা ইন্টারফ্যাক্সকে বলেন আলেক্সান্দার।ভ্যাকসিন তৈরিতে অর্থদাতা সরকারি সংস্থা রাশিয়ান ডিরেক্ট ইনভেস্টমেন্ট ফান্ডের (আরডিআইএফ) প্রধান কিরিল দিমিত্রিয়েভ পরিবারসহ ভ্যাকসিনটি নিয়েছেন। ভ্যাকসিনটির ট্রায়ালের ১০০ জনের শরীরে প্রয়োগের দ্বিতীয় ধাপ শেষ হবে ৩ আগস্ট। এরপরই কয়েক হাজার মানুষের শরীরে প্রয়োগের তৃতীয় ধাপের ট্রায়াল শুরু হবে।করোনা সংক্রমণের সংখ্যা বিবেচনায় চতুর্থ সর্বোচ্চ রাশিয়া। দেশটিতে এ পর্যন্ত সাত লাখ ৭৭ হাজার ৪৮৬ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে, তবে সুস্থ হয়ে উঠেছে পাঁচ লাখ ৫৩ হাজার ৬০২ জন। আক্রান্তের সংখ্যা বিবেচনায় যুক্তরাষ্ট্র, ব্রাজিল ও ভারতের পরই রয়েছে রাশিয়া।এই রোগের ভ্যাকসিন তৈরিতে অন্তত ৫০টি প্রকল্প চলছে রাশিয়ায়। গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও যুক্তরাজ্য অভিযোগ করে, রাশিয়ার হ্যাকারদল তাদের করোনা ভ্যাকসিন গবেষণারত ল্যাবগুলো থেকে তথ্য চুরির চেষ্টা করছে। তবে রাশিয়া এমন অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।
এপ্রিল থেকেই ‘ভ্যাকসিন’ নিয়েছেন রাশিয়ার ‘অভিজাত’রা
0
Share.