ঢাকা অফিস: প্রস্তাবিত ২০২০–২১ অর্থবছরের বাজেটে তামাকজাত পণ্যের ব্যবহার কমানো এবং রাজস্ব আয় বাড়াতে তামাক ও তামাকজাত পণ্যে সম্পূরক শুল্ক বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। একইসঙ্গে এসব পণ্যের দাম বাড়ানোরও প্রস্তাব করা হয়। বৃহস্পতিবার (১১ জুন) জাতীয় সংসদে প্রস্তাবিত ২০২০–২১ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট উত্থাপনকালে এ প্রস্তাব করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। ২০২০–২১ অর্থবছরে প্রস্তাবিত বাজেটের আকার ধরা হয়েছে ৫ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকা।নতুন প্রস্তাবিত বাজেটে বলা হয়, সিগারেটের নিম্নস্তরের দশ শলাকার দাম ৩৯ টাকা ও তদুর্ধ্ব এবং সম্পূরক শুল্ক ৫৭ শতাংশ ধার্যের প্রস্তাব করছি। এছাড়া, মধ্যম স্তরের দশ শলাকার দাম ৬৩ টাকা ও তদুর্ধ্ব, উচ্চ স্তরের দশ শলাকার দাম ৯৭ টাকা ও তদুর্ধ্ব, অতি-উচ্চ স্তরের দশ শলাকার দাম ১২৮ টাকা ও তদুর্ধ্ব এবং এই তিনটি স্তরের সম্পূরক শুল্ক ৬৫ শতাংশ নির্ধারণ করার প্রস্তাব করছি। আরও বলা হয়, যন্ত্রের সাহায্য ব্যতীত হাতে তৈরি ফিল্টার বিহীন বিড়ির পঁচিশ শলাকার দাম ১৪ টাকা থেকে বৃদ্ধি করে ১৮ টাকা, বারো শলাকার দাম ৬.৭২ টাকা হতে বৃদ্ধি করে ৯ টাকা ও আট শলাকার দাম ৪.৪৮ টাকা থেকে বৃদ্ধি করে ৬ টাকা এবং সম্পূরক শুল্ক ৩০ শতাংশ অব্যাহত রাখার প্রস্তাব করছি। ফিল্টার সংযুক্ত বিড়ির বিশ শলাকার দাম ১৭ টাকা থেকে বৃদ্ধি করে ১৯ টাকা ও দশ শলাকার দাম ৮.৫০ টাকা থেকে বৃদ্ধি করে ১০ টাকা এবং সম্পূরক শুল্ক ৪০ শতাংশ অব্যাহত রাখার প্রস্তাব করছি।অন্যদিকে স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর বিড়ি-সিগারেটের মতো ভয়াবহ আরেকটি পণ্য হলো জর্দা ও গুল। তাই এর ব্যবহার কমানোর জন্য প্রতি ১০ গ্রাম জর্দার দাম ৩০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৪০ টাকা ও প্রতি ১০ গ্রাম গুলের দাম ১৫ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২০ টাকা করা হয়েছে। পাশাপাশি দুটোরই সম্পূরক শুল্ক ৫০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৫৫ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে।
এবারও বাড়ছে সিগারেট ও বিড়ির দাম
0
Share.