ঢাকা অফিস: করোনা পরিস্থিতিতে নির্দেশনা মেনে চা বাগানগুলোতে উৎপাদন অব্যাহত রাখায় এ শিল্পে বিরাজ করছে চাঙ্গাভাব। এ বছরও গেল মৌসুমের মতো রেকর্ড পরিমাণ চা উৎপাদনের আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা। চা শিল্পের এমন ধারা অব্যাহত রাখতে খরা মৌসুমে সেচ সুবিধা বাড়ানোর জন্য সরকারের সহযোগিতা কামনা করেছেন সংশ্লিষ্টরা। প্রকৃতির আলো-ছায়ার মাঝে বেড়ে ওঠা চা শিল্পে এখন আমদানি নির্ভরতা দূর হয়েছে। গেলো বছর জুড়ে অনুকূল আবহাওয়ায় প্রতিটি বাগানে সবুজের সমারহে চা বাগানের ইতিহাসে সর্বোচ্চ উৎপাদন হয়েছিল। গত মৌসুমে একশ ৬৬টি চা বাগানে উৎপাদন হয়েছিল ৯ কোটি ৬১ লাখ কেজি। তবে চলতি মৌসুমে টার্গেট ১১ কোটি কেজি। টার্গেট পূরণে আশাবাদী সংশ্লিষ্টরা। বুরজান চা বাগান ব্যবস্থাপক মো. কামরুজ্জামান বলেন, ফলন গত বছরের তুলনায় এবার বেশিও পেতে পারি। এ বছর যদি কোনো বালাই না দেখা যায় তাহলে আশা করা যেতেই পারে। আর লক্ষ্য পূরণে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে বাগানগুলোতে পুরোদমে কাজ চলছে। বুরজান চা বাগান ফ্যাক্টরি ইনচার্জ আল ফারুক বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে সব রকমের কাজ চালিয়ে যাচ্ছি আমরা।চলতি মৌসুমের শুরুতে খরায় চা বাগানগুলোর কুড়ি পরিস্ফুটনে কিছুটা বিঘ্ন ঘটলেও পরবর্তীতে বৃষ্টিপাতে তা পুষিয়ে যায়। খরা থেকে চা বাগানগুলো বাঁচানোর জন্য সেচ সুবিধায় সরকারের সহযোগিতা চেয়েছেন ব্যবস্থাপনার সঙ্গে জড়িতরা।নর্থ-সিলেট ভ্যালি টি এসোসিয়েশন চেয়ারম্যান নোমান হায়দার চৌধুরী বলেন, সরকার থেকে যদি শুল্ক ছাড়া প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি দেয় আমাদের উপকার হবে। সোমবার চট্টগ্রামে মৌসুমের প্রথম চা নিলাম অনুষ্ঠিত হবে। আর ৩ জুন অনুষ্ঠিত হবে শ্রীমঙ্গলে। মৌসুমের ৪২টি নিলাম অনুষ্ঠিত হবে চট্টগ্রামে। আর ২০টি শ্রীমঙ্গলে।
এবারও রেকর্ড পরিমাণ চা উৎপাদনের আশা সংশ্লিষ্টদের
0
Share.