স্পোর্টস রিপোর্ট: প্রথম টেস্টের ছোয়া যেন দ্বিতীয় টেস্টে পড়েছে। অ্যান্টিগা টেস্টে বড় ব্যবধানে পিছিয়ে থেকে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়েছিল বাংলাদেশ। সেবার সাকিব-সোহান মিলে ইনিংস হারের লজ্জা থেকে বাঁচিয়েছিলেন। সেন্ট লুসিয়াতেও একই সমস্যায় পড়েছে দল। সাকিব ফিরেছেন সাজঘরে, মাঠে সোহান-মেহেদি। এবার টাইগাররা পারবে তো ইনিংস হার এড়াতে? সেন্ট লুসিয়া টেস্টে ১৭৪ রানে পিছিয়ে থেকে খেলতে নেমে ১৩২ রান তুলতেই ৬ উইকেট হারিয়েছে রাসেল ডোমিঙ্গোর শিষ্যরা। ফলে ইনিংসে না হারলে চাইলে এখনও ৪২ রান তুলতে হবে সাকিব আল হাসানের দলকে। হাতে রয়েছে মাত্র চারটি উইকেট। ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রথম ইনিংস শেষে বাংলাদেশের দ্বিতীয় ইনিংসের শুরুটা ভালো হতে দেননি ক্যারিবিয়ান পেসার কেমার রোচ। তার দুর্দান্ত বোলিংয়ে মাত্র নয় ওভারের মাথায় তিন উইকেট হারিয়ে ফেলে সফরকারীরা। প্রথম তিনটি উইকেটই নেন কেমার রোচ। আর তামিমকে আউট করার মাধ্যমেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারের তালিকায় কিংবদন্তি বোলার মাইকেল হোল্ডিংকে পেছনে ফেলেছেন তিনি। ৪ রানে তামিম, ১৩ জয় ও ৪ রানে বিজয় আউট হয়েছেন। আর লিটনের ব্যাট থেকে এসেছে ১৯ রান। পঞ্চম উইকেট জুটিতে ভরসার প্রতীক হয়ে উঠছিলো সাকিব আল হাসান ও নাজমুল হাসান শান্তর ব্যাট। ফিফটির পথেই এগোচ্ছিলেন শান্ত। কিন্তু আলযারি জোসেফের করা বলে ব্যক্তিগত ৪২ রানে কটবিহাইন্ড হন তিনি। ষষ্ঠ উইকেটে সাকিব-সোহানকে একসঙ্গে ক্রিজে দেখে অ্যান্টিগা টেস্টের কথাই মনে পড়ছিলো। অনেকে হয়তো ভেবেই নিয়েছিলেন এ দুজনই বুঝি বাংলাদেশকে ইনিংস হারের লজ্জা থেকে রক্ষা করবে! কিন্তু না। তৃতীয় দিনের শেষ বিকেলে সোহান রেখে প্যাভিলিয়নের পথ দরেন দলনেতা সাকিব। আলযারি জোসেফের বলে জন ক্যাম্পবেলের হাতে ক্যাচ তুলে দেওয়ার আগে করেন মোটে ১৬ রান। এরপর মেহেদি হাসান মিরাজকে সঙ্গে নিয়ে তৃতীয় দিন শেষ করেন উইকেটকিপার ব্যাটার নুরুল হাসান সোহান। দিনশেষে ১৪ বলে ১৬ রানে সোহান ও ১৩ বলে শূন্যরানে মিরাজ অপরাজিত রয়েছেন। চতুর্থ দিনে আবারও ব্যাট করবেন তারা। এর আগে ৩৪০ রানে দ্বিতীয় দিন শেষ করা ওয়েস্ট ইন্ডিজ আবারও ব্যাট করতে নামে। তবে ব্যাট হাতে দিনের শুরুটা ভালো হয়নি স্বাগতিকদের। তৃতীয় দিনের দ্বিতীয় ওভারেই জশুয়া ডি সিলভাকে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলেন মেহেদি হাসান মিরাজ। সিলভা আউট হওয়ার আগে করেন ২৯ রান। পরের উইকেটে খেলতে নেমে ৬ রানে আউট হন আলজারি জোসেফ। আউট হওয়ার আগে করতে পেরেছেন মাত্র ১৬ রান। দিনের প্রথম সেশনের শেষদিকে বৃষ্টি বাগড়ায় বন্ধ ছিল খেলা। এর মাঝেই লাঞ্চ বিরতির সময়ও ফুরিয়ে যায়। আর বৃষ্টিতে থেমে গেলে দ্বিতীয় সেশনের খেলা শুরু হয়। এই সেশনের শুরুতেই সেঞ্চুরিয়ান কাইল মেয়ার্সকে সাজঘরে পাঠান খালেদ আহমেদ। আউট হওয়ার আগে ১৪৬ রান করেন মেয়ার্স। ২০৮ বলে খেলা তার এই শৈল্পিক ইনিংসটি ১৮টি চার ও দুটি ছয়ে সাজানো। এরপর দলীয় স্কোরে কিছু রান যোগ করেন কেমার রোচ। কিন্তু একপ্রান্তে তিনি সামলালেও অন্যপ্রান্তে দাঁড়াতে পারছিলেন না কেউই। ৯ রানে আউট হন অ্যান্ডারসন ফিলিপ ও ৫ রানে ফেরেন জেইডেন সিলস। আর ১৮ রানে অপরাজিতই থাকেন রোচ। বাংলাদেশের পক্ষে ৩১.৩ ওভারে তিনটি মেডেনসহ ১০৬ রানের খরচায় সর্বোচ্চ পাঁচটি উইকেট নেন ডানহাতি পেসার খালেদ আহমেদ। এছাড়া মেহেদি হাসান মিরাজ তিনটি ও শরিফুল ইসলাম দুটি উইকেট নেন।
এবার ইনিংস হার এড়াতে পারবে তো বাংলাদেশ?
0
Share.