ডেস্ক রিপোর্ট: চীনে নতুন করে বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে পড়েছে করোনাভাইরাস সংক্রমণ। ভারতীয় ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের কারণেই এই সংক্রমণ বলে দেশটির স্থানীয় গণমাধ্যমে জানানো হয়েছে। গত ১০ দিনে করোনা নিয়ন্ত্রণকারী চীনে তিনশ জনের অধিক ব্যক্তি করোনা সংক্রমিত হয়েছেন। দেশটির স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা এ পরিস্থিতিতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।চীনা সরকার এরইমধ্যে নতুন করে ভ্রমণে ও যাতায়াতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। আর প্রতিদিন লক্ষাধিক মানুষের করোনা পরীক্ষা করছে।চীন তাদের জনগোষ্ঠীকে এ পর্যন্ত দেড়শ কোটিরও বেশি ডোজ টিকা প্রয়োগ করেছে। দেশটির ১৫টি প্রদেশ ও পৌরসভায় ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট পাওয়ার খবর নিশ্চিত করা হয়েছে। চীনের পূর্বে জিয়াংসু প্রদেশে এর প্রাদুর্ভাব শুরু হয়। অভ্যন্তরীণ পর্যটন মৌসুম শুরু হওয়ার কারণে ডেল্টা থাবা বসিয়েছে বলে কর্তৃপক্ষ দায়ী করেছেন।হুবেই প্রদেশের রাজধানী উহানের পর নতুন এই মহামারিকে সবচেয়ে ব্যাপক বলে আখ্যায়িত করেছে দেশটির স্থানীয় সংবাদমাধ্যম। গত ২০ জুলাই শহরটির ব্যস্ততম বিমানবন্দরে প্রথম করোনা শনাক্ত হয়েছে। পরে তা আরও প্রায় ২০০ জনের শরীরে সংক্রমিত হয়েছে।এতে আগামী ১১ আগস্ট পর্যন্ত নানজিং বিমানবন্দরের সব ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে।এই মহামারির কারণে শহর কর্তৃপক্ষের ব্যর্থতাকে দায়ী করা হচ্ছে। শহরটিতে ব্যাপক পরীক্ষা কার্যক্রম শুরু হয়ে গেছে। বিমানবন্দরের ব্যস্ততার কারণে মহামারি এত বেশি ছড়িয়েছে বলে দাবি করছেন কর্মকর্তারা।নানজিংয়ের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডিং জি সাংবাদিকদের বলেন, গত ১০ জুলাই শহরে রাশিয়া থেকে আসা একটি ফ্লাইটে কাজ করা একজন পরিচ্ছন্নকর্মীর সঙ্গে এই মহামারি বিস্তারের সম্পর্ক রয়েছে। কারণ তিনি স্বাস্থ্যবিধি সঠিকভাবে মেনে চলেননি বলে এই সংক্রমণ হয়েছে।এ ঘটনায় সমালোচনার মুখে পড়েছে বিমানবন্দর ব্যবস্থাপনা। সেখানে তদারকির অভাব ও অপেশাদার ব্যবস্থাপনাকে দায়ী করেছে স্থায়ী কমিউনিস্ট পার্টি। করোনা পরীক্ষা থেকে দেখা যাচ্ছে, ভাইরাস এখন রাজধানী বেইজিং এবং চেংডুসহ অন্তত ১৩টি নগরীতে ছড়িয়েছে।গ্লোবাল টাইমস পত্রিকা জানিয়েছে, ভাইরাসের বিস্তার এখনও প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে এবং তা নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব বলেই মনে করছেন তারা।২০১৯ সালের শেষ দিকে উহানে প্রথম করোনার প্রাদুর্ভাব ঘটার পর তা বৈশ্বিক মহামারিতে রূপ নিয়েছে। ভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে প্রথম থেকেই কঠোর অবস্থান নিয়ে চীন এর রাশ টেনে ধরতে অনেকটা সফলও হয়েছে।২০২০ সালের মার্চ থেকে দেশটিতে সরকারি হিসাবে শনাক্তের সংখ্যা কম রয়েছে। মাঝে মাঝে বাড়লেও তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ নিয়ে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে সক্ষম হয়েছে দেশটির কর্তৃপক্ষ। কিন্তু এবার করোনা ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট তাদের বাঁকে এনেছে।দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার বেশ কয়েকটি দেশ চীনা টিকার ওপর নির্ভরশীল থাকলেও সম্প্রতি তারা অন্য টিকা ব্যবহারের ঘোষণা দিয়েছে।
এবার ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টে কাবু করোনাজয়ী চীন
0
Share.