স্পোর্টস রিপোর্ট: দুর্দান্ত পারফর্মেন্সের ধারাবাহিকতা ধরে রেখেছেন কিলিয়ান এমবাপে। ফ্রেঞ্চ লীগ ওয়ানে শুক্রবারও গোলের দেখা পেয়েছেন তরুণ প্রতিভাবান এই স্ট্রাইকার। আর রেনেসের বিপক্ষে শেষ মুহূর্তে তার করা গোলের সৌজন্যেই ১-০ ব্যবধানে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে প্যারিস সেইন্ট জার্মেই (পিএসজি)। সেই সঙ্গে লীগে টানা ১৫ ম্যাচে অপরাজিত থাকল মাউরোসিও পোচেত্তিনোর দল। এই জয়ের ফলে ফ্রেঞ্চ লীগ ওয়ানে নিজেদের শীর্ষস্থানটাকে আরও সুসংহত করেছে প্যারিস সেইন্ট জার্মেই। প্রথম ২৪ ম্যাচ থেকে তাদের সংগ্রহে এখন ৫৯ পয়েন্ট। যেখানে লীগ টেবিলের দুই নম্বরে থাকা মার্শেইর দখলে ৪৩ পয়েন্ট। অর্থাৎ মার্শেইর সঙ্গে এখন তাদের পয়েন্ট ব্যবধান ১৬। যদিও বা পিএসজির চেয়ে একটি ম্যাচ কম খেলেছে মার্শেই। ২০১২-১৩ মৌসুম থেকে ফ্রেঞ্চ লীগ ওয়ানে এককভাবে রাজত্ব করে পিএসজি। ২০১৯-২০ মৌসুম পর্যন্ত মাত্র একবার লীগ শিরোপা জিততে ব্যর্থ হয় তারা। গত মৌসুমে তাদের সেই রাজত্বে হানা দেয় লিলি। যে কারণে এবার শুরু থেকেই শিরোপা পুনরুদ্ধারে মরিয়া হয়ে ওঠে প্যারিস জায়ান্টরা। সেই লক্ষ্যেই ছুটে চলা পিএসজি শুক্রবার নিজেদের মাঠে আতিথ্য দেয় রেনেসকে। প্রতিপক্ষের মাঠে বেশ ভালোভাবেই নিজেদের দাপট দেখায় সফরকারী দল। ম্যাচ শুরুর সপ্তম মিনিটেই এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছিল রেনেস। কিন্তু ফরাসী মিডফিল্ডার বেনজামিন বৌরিগেডের সেই শট কেইলর নাভাসের দেয়াল ভেদ করতে পারেনি। পিএসজি প্রথম সুযোগ পায় ম্যাচের ৩৪ তম মিনিটে। তবে বল লক্ষ্যে রাখতে পারেননি এমবাপে। তবে বিরতির ঠিক পূর্ব মুহূর্তে আবারও সুযোগ নষ্ট করে তারা। বল দখলের লড়াইয়ে প্রথমার্ধে পিএসজি বেশ এগিয়ে ছিল। কিন্তু তা কাজে লাগাতে পারেনি পোচেত্তিনের শিষ্যরা। এই সময়ে ৫ শটের একটি মাত্র গোল রাখতে পেরেছে স্বাগতিক দল। দ্বিতীয়ার্ধে অবশ্য গোলের জন্য আরও মরিয়া হয়ে ওঠে পিএসজি। ৬২তম মিনিটে দারুণ এক সুযোগ পেয়েও তা কাজে লাগাতে ব্যর্থ হন সাবেক মোনাকো তারকা কিলিয়ান এমবাপে। পরের মিনিটে তিনিই আবার জালে বল জড়ান তিনি। কিন্তু ভিএআরের মাধ্যমে রেফারির নির্দেশে অফসাইডের কারণে তা বাতিল হয়ে যায়। ফলে নির্ধারিত ৯০ মিনিটে রেনেসের জালে কোন গোল করতে পারেনি স্বাগতিক শিবির। তবে ম্যাচের বয়স যখন অতিরিক্ত সময়ের ৯০+৩ মিনিট ঠিক তখনই রেনেসের জালে বল জড়ান কিলিয়ান এমবাপে। দলের সেরা তারকা লিওনেল মেসির এ্যাসিস্ট থেকে গোল করে পিএসজিকে পূর্ণ তিন পয়েন্ট উপহার দেন এই ফরাসী তারকা। চলতি মৌসুমে পিএসজির জার্সিতে ৩১ ম্যাচ থেকে এটা এমবাপের ২১তম গোল। লীগ ওয়ানে ২০২১-২২ মৌসুমে সর্বোচ্চ গোলদাতার তালিকার দুই নম্বরে অবস্থান করছে এমবাপে। ২২ ম্যাচে তার গোল ১২। শীর্ষে রয়েছেন মোনাকোর উইসাম বেন ইয়েদ্দার। সমানসংখ্যক ম্যাচ থেকে তার গোলসংখ্যা ১৪। চলতি মৌসুমে পিএসজির হয়ে সব ধরনের প্রতিযোগিতায় সতীর্থদের দিয়ে ১৬ গোল করাতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন ফরাসী তারকা। লীগ ওয়ানে এ্যাসিস্টের দিক দিয়ে যৌথভাবে শীর্ষস্থানে অবস্থান এমবাপের। দিমিত্রি পায়েতের সঙ্গে তার এ্যাসিস্টও সমান ৯টি। যদিওবা পায়েত খেলেছেন ২০ ম্যাচ। ১৪ ম্যাচ খেলে ৭ গোল করে শীর্ষ এ্যাসিস্টকারীদের তালিকার চার নম্বরে অবস্থান করছেন লিওনেল মেসি। লীগে এটা তার ১৯৯তম এ্যাসিস্ট। ক্লাব ক্যারিয়ারে যা ২৭৫। আর সাবেক বার্সেলোনার আর্জেন্টাইন স্ট্রাইকারের এটা ক্যারিয়ারের ৩২২তম এ্যাসিস্ট। গত মৌসুমেই স্প্যানিশ জায়ান্ট বার্সেলোনা থেকে পিএসজিতে যোগ দেন লিওনেল মেসি। এই সময়ে সতীর্থদের দিয়ে গোল করাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখলেও নিজে গোল করেছেন মাত্র দুটি। এদিকে ইনজুরির কারণে নেইমারও দলের বাইরে ছিটকে গেছেন। আর মেসি- নেইমারের কাজটাই সঠিকভাবে করে চলেছেন এমবাপে। ফরাসী তারকার পারফর্মেন্সে মুগ্ধ-বিমোহিত ক্লাবটির অভিজ্ঞ কোচ পোচেত্তিনেও।
এমবাপের দুর্দান্ত পারফর্মেন্স জয় পিএসজির
0
Share.