ডেস্ক রিপোর্ট: কাশ্মির ইস্যুতে করা তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোয়ানের মন্তব্যের কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ভারত। দিল্লির ‘অভ্যন্তরীণ’ বিষয়ে তুর্কি নেতৃত্বকে হস্তক্ষেপ না করার আহ্বান জানিয়েছেন ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রবিশ কুমার। পাকিস্তান সফররত তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোয়ান শুক্রবার দেশটির পার্লামেন্টের যৌথ অধিবেশনে ভাষণ দেন। ওই ভাষণে কাশ্মির ইস্যুতে পাকিস্তানের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দেন তিনি। এছাড়া তুরস্কা-পাকিস্তানের যৌথ ঘোষণাতেও স্থান পায় কাশ্মির ইস্যু। তুর্কি প্রেসিডেন্টের মন্তব্য ও পাকিস্তান-তুরস্কের যৌথ ঘোষণা প্রত্যাখ্যান করে ভারত বলেছে, জম্মু ও কাশ্মির ভারতের অখণ্ড ও অবিচ্ছেদ্য অংশ। ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রবিশ কুমার বলেন, ‘আমরা তুর্কি নেতৃত্বকে ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করার এবং প্রকৃত সত্য নিয়ে বোঝাপড়ার আহ্বান জানাচ্ছি। প্রকৃত সত্যের মধ্যে রয়েছে পাকিস্তান থেকে ভারত ও এই অঞ্চলে ঢুকে পড়া সন্ত্রাসীদের মারাত্মক হুমকি।’ প্রসঙ্গত, ভারতের তীব্র আপত্তি সত্ত্বেও একাধিকবার কাশ্মির ইস্যুতে মন্তব্য করেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোয়ান। গত বছরের সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে এরদোয়ানের ভাষণেও উঠে আসে কাশ্মির ইস্যু। ওই সময়েও গভীর হতাশা ব্যক্ত করে ভারত।
উল্লেখ্য, পরমাণু শক্তিধর দুই দেশ ভারত ও পাকিস্তান উভয়ই কাশ্মিরকে নিজেদের বলে দাবি করে। ১৯৪৭ সালে স্বাধীনতা পাওয়ার পর দুই প্রতিবেশীর তিনটি যুদ্ধের মধ্যে দুটি সংঘটিত হয়েছে কাশ্মির ইস্যুতে। এক সামরিক নিয়ন্ত্রণরেখা দিয়ে কাশ্মিরকে বিভক্ত করে রাখা হয়েছে। ভারতের শাসনে রয়েছে ৪৫ শতাংশ এলাকা আর পাকিস্তান শাসন করে ৩৫ শতাংশ অঞ্চল। আর বাকি অঞ্চল শাসন করে চীন। ভারত শাসিত কাশ্মিরের নাগরিকেরা দেশটির সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদে বর্ণিত বিশেষ মর্যাদা ভোগ করে আসছিল। গত বছরের আগস্টে ওই ধারা বাতিল করে কাশ্মিরের স্বায়ত্তশাসন কেড়ে নেওয়া হলে বিশ্বজুড়ে তীব্র সমালোচনা শুরু হয়।