ডেস্ক রিপোর্ট: মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনিকে শব্দচয়নে সতর্ক হতে বলেছেন। শুক্রবার জুমার নামাজের খুতবায় খামেনি যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় দেশগুলোর কঠোর সমালোচনা করার পর ট্রাম্প টুইটারে এ হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে। “ইরানের তথাকথিক সর্বোচ্চ নেতা, যিনি ইদানিং আর অতখানি সর্বোচ্চ নন, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপ সম্পর্কে কিছু বাজে কথা বলেছেন। তাদের (ইরান) অর্থনীতি ধসে পড়ছে, জনগণ কষ্ট পাচ্ছে। তার উচিত কথাবার্তা সাবধানে বলা,” বলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। শুক্রবারের খুতবায় খামেনি তেহরানে বিমান দুর্ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করলেও, যাদের ভুল করে ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্রে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে, সেই সেনাবাহিনীর প্রতি সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছেন। ইরাকের সামরিক ঘাঁটিতে তেহরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা যুক্তরাষ্ট্রের গালে চড় বসিয়ে দিয়েছে বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি। ইরানের শর্ত লংঘনের অভিযোগ তুলে ইউরোপের তিন দেশ ২০১৫ সালে স্বাক্ষরিত পরমাণু চুক্তির ‘বিরোধ নিষ্পত্তি’ কার্যক্রম শুরু করায় তাদেরও কড়া সমালোচনা করেছেন খামেনি। যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও জার্মানিকে ওয়াশিংটনের ‘বার্তাবাহী ভৃত্য’ বলে তিরষ্কারও করেছেন ইরানের এ সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা। ছয় বিশ্বশক্তির সঙ্গে স্বাক্ষরিত ওই চুক্তি থেকে ২০১৮ সালে যুক্তরাষ্ট্র বেরিয়ে যায়। তারপর থেকেই ওয়াশিংটন ও তেহরানের মধ্যে উত্তেজনার পারদ চড়তে শুরু করে। চলতি মাসের শুরুতে ইরাকের বাগদাদ বিমানবন্দরে যুক্তরাষ্ট্র ড্রোন হামলা চালিয়ে ইরানের বিপ্লবী রক্ষীবাহিনীর বিদেশি শাখা কুদস বাহিনীর কমান্ডার কাসেম সোলেমানিকে হত্যা করে। এর বদলায় কয়েকদিন পর তেহরান ইরাকের দুটি সামরিক ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়। এতে যুক্তরাষ্ট্রের ‘৮০ সন্ত্রাসী’ নিহত হয়েছে বলে তেহরান দাবি করলেও ওয়াশিংটন তা অস্বীকার করে হামলায় তাদের কেউ নিহত হয়নি বলে জানায়। ইরানি হামলার পর ১১ মার্কিন সেনা মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিলেন বলে সম্প্রতি মার্কিন সেন্ট্রাল কমান্ড নিশ্চিত করেছে; আহতদের চিকিৎসা চলছে বলেও জানিয়েছে তারা।
কথাবার্তায় সাবধান হওয়া উচিত খামেনির: ট্রাম্প
0
Share.