ঢাকা অফিস:জুলাই গণঅভ্যুত্থানে নেতৃত্বদানকারী শিক্ষার্থীদের হাত ধরে এ মাসেই আত্মপ্রকাশ করতে যাচ্ছে নতুন একটি রাজনৈতিক দল। সাম্প্রতিক সময়ে ‘টক অব দ্য কান্ট্রি’— কবে আসছে ছাত্রদের নতুন রাজনৈতিক দল? কী হবে সেই দলের নাম? কাদের হাতেই বা থাকবে নেতৃত্বের চাবিকাঠি? ১৫ থেকে ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে যেকোনো দিন নতুন রাজনৈতিক দলের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসতে পারে বলে শুক্রবার একটি সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী। অন্যদিকে সদস্যসচিব আখতার হোসেন বলেছেন, ফেব্রুয়ারির শেষাংশে দলের ঘোষণা আসতে পারে।নতুন দলের নেতৃত্বের বিষয়ে জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখপাত্র সামান্তা শারমিন জানিয়েছেন, নতুন দলের দায়িত্ব নিতে চলতি সপ্তাহে সরকার থেকে পদত্যাগ করতে পারেন উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম। রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) নিউজ টোয়েন্টিফোরকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা জানান। সম্প্রতি একটি টেলিভিশনে দেওয়া সাক্ষাৎকারে উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘ঘোষণা হয়েছে যে, এ মাসেই দল গঠন হবে। যদি তাই হয় তবে এ মাসেই সরকার ছেড়ে দলে অংশ নেব। আর কয়েক দিনের মধ্যেই একটা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত সবাই পাবেন, আপনারা জানতে পারবেন।’তবে দলটির সদস্য সচিব পদে কে আসছেন তা নিয়ে নানা গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। ঠিক কাকে সদস্য সচিব করা হচ্ছে, তা নিশ্চিত করে এখনো জানা যায়নি। তবে এ পদে একাধিক নাম আলোচনায় আসছে। যাদের নাম আলোচনায় আসছে তারা হলেন, জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী, সদস্যসচিব আখতার হোসেন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম।
জাতীয় নাগরিক কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আদীব একটি গণমাধ্যমকে বলেন, ‘শীর্ষ পদে নাহিদ ইসলামকেই সবার পছন্দ। দ্বিতীয় শীর্ষ পদের জন্য আলোচনায় আছেন আখতার হোসেন, নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী ও সারজিস আলম।’
নাগরিক কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আদীব বলেন, ‘নাহিদ ইসলাম উপদেষ্টার পদ থেকে পদত্যাগ করলে তিনিই হবেন আহ্বায়ক। সদস্য সচিব পদে কয়েকজন ক্যান্ডিডেট রয়েছেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, নাগরিক কমিটি এবং অন্যান্য অংশীজনদের পরামর্শ নিয়েই সদস্য সচিব ঠিক করা হবে।’
আন্দোলনের সমন্বয়ক নুসরাত তাবাসসুম ফেসবুকে এক পোস্টে উল্লেখ করেন, ‘আখতার হোসেন ভাই আমার পীর। ভাইয়ের হাতে আমার রাজনীতিতে বায়াত। ভাই যদি আমার চোখ বেঁধে দিয়ে বলে ঝাঁপ দে, আমি ভাবব না সামনে কি আছে। ভাইয়ের নামে দুটো কথা বলার আগে নিজ নিজ খাতা খুলে দেখে নেওয়া উচিত।’
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখ্য সংগঠক আবদুল হান্নান মাসউদ ফেসবুকে লিখেছেন, ‘আমার ফ্যাসিবাদবিরোধী রাজনীতিতে আসা আখতার হোসেনের হাত ধরেই। এ দেশের প্রতি, দেশের মানুষের প্রতি ওনার ভালোবাসা সবসময় আমাদের মুগ্ধ করেছে। ঢাবি ক্যাম্পাসে একক নেতৃত্বে ছাত্রলীগ নামক সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে সবসময় রুখে দাঁড়িয়েছেন। বারবার হামলার সম্মুখীন হয়েছেন, আহত হয়েছেন, কারারুদ্ধ হয়েছেন। কিন্তু সঙ্গীদের একমুহূর্তের জন্যেও ছেড়ে যাননি। কোনো যদি-কিন্তু ছাড়া সচেতন নাগরিক হিসেবে আখতার হোসেনের পাশে আছি।’