ডেস্ক রিপোর্ট: নভেল করোনাভাইরাস বিশ্বের মধ্যে বাংলাদেশে সবচেয়ে দ্রুত গতিতে রূপ পাল্টাচ্ছে। সারা বিশ্বে নমুনাপ্রতি মিউটেশন (রূপ পরিবর্তন) পরিমাপ করা হয়েছে ৭ দশমিক ২৩। বাংলাদেশের ক্ষেত্রে এ সংখ্যা ১২ দশমিক ৬। বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদের (বিসিএসআইআর) সাম্প্রতিক এক গবেষণায় এসব তথ্য উঠে এসেছে। বিসিএসআইআরের পক্ষ থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, চলতি বছরের মে মাসে শুরু হওয়া এক গবেষণা কাজে নিয়োজিত দল সারা দেশ থেকে নমুনা এবং সেইসঙ্গে রোগীর প্রাসঙ্গিক তথ্য সংগ্রহের জন্য প্রয়োজনীয় সতর্কতা মেনে পরিসংখ্যাননির্ভর বিস্তৃত পরিকল্পনা গ্রহণ করে। গবেষক দলটি বাংলাদেশের আটটি বিভাগ থেকে সংগ্রহ করা সার্স-কোভ-২-এর ২৬৩টি নমুনার সম্পূর্ণ জিনোম সিকোয়েন্সিং করে। সংগৃহীত নমুনায় শতভাগ ক্ষেত্রে একমাত্র ‘ডমিনেন্ট’ বা আধিপত্যকারী ভ্যারিয়েন্ট ‘জি৬১৪’-এর উপস্থিতি নিশ্চিত করা হয়েছে।বিসিএসআইআরের গবেষণার মধ্য দিয়ে যদিও ভৌগোলিক বিবেচনায় সার্স-কোভ-২-এর স্বতন্ত্র কোনো ভ্যারিয়েন্ট পাওয়া যায়নি, কিন্তু এ ভাইরাসের ৯টি সাবক্লাস্টারসহ তিনটি স্বতন্ত্র ক্লাস্টার চিহ্নিত করা হয়েছে।গবেষণায় আরো বলা হয়, সার্স-কোভ-২ জিনোম দিয়ে ৭৩৭টি মিউটেশন সাইট ও ৩৫৮ নন্-সিনোনিমোস অ্যামিনো এসিড প্রতিস্থাপন চিহ্নিত করা হয়েছে।এ ছাড়া স্পাইক প্রোটিনে ৫৩টি নন্-সিনোনিমাস অ্যামিনো এসিড প্রতিস্থাপন এবং ১০৩টি নিউক্লিওটাইড প্রতিস্থাপন শনাক্ত করা হয়েছে। বিসিএসআইআরের জেনোমিক রিসার্চ ল্যাবরেটরির প্রিন্সিপাল সায়েন্টিফিক অফিসার ড. মো. সেলিম খান বলেন, ‘আমরা স্পাইক প্রোটিনে নন-সিনোনিমাস অ্যামিনো এসিড প্রতিস্থাপনের ওপর ভিত্তি করে বৈশ্বিক সার্স- কোভ-২-এর সঙ্গে সর্ম্পকিত পাঁচটি স্বতন্ত্র ভ্যারিয়েন্ট আবিষ্কার করেছি। সংগৃহীত নমুনায় ১০০ ভাগ ক্ষেত্রে আমরা চারটি পৌনপুনিক মিউটেশন নিরীক্ষণ করেছি।’
করোনাভাইরাস বাংলাদেশে অনেক দ্রুতগতিতে রূপ পাল্টাচ্ছে
0
Share.