শুক্রবার, ডিসেম্বর ২৭

করোনার প্রাদুর্ভাব কমায় যে ব্যবস্থা নিল মালয়েশিয়া

0

ডেস্ক রিপোর্ট: মালয়েশিয়ায় নোভেল করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) প্রাদুর্ভাব কিছুটা কমে আসায় চলমান মুভমেন্ট কন্ট্রোল অর্ডার (এমসিও) শিথিল করে আগামি ৫ মার্চ থেকে ১৮ মার্চ পর্যন্ত ২ সপ্তাহের জন্য দেশটির সেলাঙ্গর, জহুর, পিনেং রাজ্য এবং রাজধানী কুয়ালালামপুরে কন্ডিশনাল মুভমেন্ট কন্ট্রোল অর্ডার (সিএমসিও) ঘোষণা করা হয়েছে।এর আগে মালয়েশিয়ায় মুভমেন্ট কন্ট্রোল অর্ডার (এমসিও) ঘোষণা করা হয়েছিল। যা ১৯ ফেব্রুয়ারি থেকে ৪ মার্চ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। আগামী ৫ মার্চ থেকে ১৮ মার্চ পর্যন্ত সিএমসিও বহালের সিদ্ধান্ত হয়েছে। সেই সঙ্গে কন্ডিশনাল মুভমেন্ট কন্ট্রোল অর্ডার (সিএমসিও) চলাকালীন আন্তঃজেলা ভ্রমণ করতে পারলেও আন্তঃরাজ্য ভ্রমণে রয়েছে নিষেধাজ্ঞা।স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (০২ মার্চ) দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী দাতুক সেরি ইসমাইল সাবরি বিন ইয়াকুব এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান। তিনি জানান, দেশের বর্তমান করোনাভাইরাস পরিস্থিতির ওপর ভিত্তি করে জাতীয় সুরক্ষা কাউন্সিল ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পরামর্শক্রমে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।তিনি আরও জানান, আগামি ৫ মার্চ থেকে দেশটির মেলাকা, পাহাং, তেরেঙ্গানু, সাবাহ, পুত্রজায়া এবং লাবুয়ান রাজ্যগুলোকে রিকভারি মুভমেন্ট কন্ট্রোল অর্ডার (আরএমসিও) অধীনে রাখা হবে। সিএমসিও এসওপি এবং নির্দেশিকা রয়েছে, জিম, ফুটবল মাঠ এবং ফুটসাল কোর্ট খোলা থাকবে । পাবলিক পার্ক জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। একটি গাড়িতে সর্বোচ্চ ২ জন উঠতে পারবে। কর্মীদের কাজে যাওয়ার সময় তাদের নিয়োগকর্তার অনুমতিপত্র সাথে রাখতে হবে। জরুরী অবস্থা বা কর্তৃপক্ষের যথাযথ অনুমতি ছাড়া আন্তঃজেলা ভ্রমণ করতে পারলেও আন্তঃরাজ্য ভ্রমণে অনুমতি থাকতে হবে। তবে সিএমসিও এবং আরএমসিও এলাকার মধ্যে চলাচল এবং ভ্রমণও নিষিদ্ধ। এছাড়া উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ ব্যক্তি এবং শিশুদের বাইরে যেতে উৎসাহিত না করা, বিশেষ করে উন্মুক্ত এবং জনবহুল এলাকায় এড়িয়ে চলতে বলা হয়েছে। কন্ডিশনাল মুভমেন্ট কন্ট্রোল অর্ডার বহাল থাকা রাজ্যগুলোতে যাতায়াত করতে হলে ভ্রমণের আগে নিকটবর্তী থানা থেকে অনুমতিপত্র সংগ্রহ করতে হবে।  এদিকে, দেশটিতে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ৫’শ ৫৫ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৬ জনের। সব মিলিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা ৩ লাখ ৪ হাজার ১৩৫ জন। এ পর্যন্ত করোনায় মারা গেছেন ১ হাজার ১’শ ৪১ জন।সুস্থ হয়ে বাসায় ফিরেছেন ২ লাখ ৭৮ হাজার ৪৩১ জন। তবে দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত হয়ে কোনো বাংলাদেশির মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি।

Share.