ঢাকা অফিস: করোনায় চাপা পড়েছে ক্যাসিনোকাণ্ড-পাপিয়াকাণ্ডসহ আলোচিত সব মামলার তদন্ত কাজ। অভিযুক্তরা গ্রেপ্তার হওয়ার পর মদদদাতা হিসেবে অনেক প্রভাবশালীর নাম শোনা গেলেও নতুন কাউকে আটক বা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়নি। তদন্ত কাজেও নেই দৃশ্যমান অগ্রগতি। উদ্ধার হয়নি অবৈধভাবে আয় করা বা পাচার করা বিপুল সম্পদ। তবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দাবি, করোনায় ব্যস্ততা বাড়লেও তদন্তকাজে কোনো প্রভাব পড়েনি। প্রভাব খাটিয়ে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে গ্রেপ্তার হন যুবলীগের বহিষ্কৃত নেতা ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাট, জিকে শামীমসহ আরো কয়েকজন। অভিযানে পদ হারান ক্ষমতাসীন দলের সহযোগী সংগঠনের প্রভাবশালী অনেকেই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে গতবছর নিজ ঘর থেকে দুর্নীতিবিরোধী শুদ্ধি অভিযান শুরু হলে সব মহলে তা প্রশংসিত হয়। সবশেষ গ্রেপ্তার হন যুব মহিলা লীগের বহিষ্কৃত নেত্রী শামীমা নূর পাপিয়া। গ্রেপ্তারের পর তদন্তে বিদেশে অর্থ পাচার, মমদদাতা ও আশ্রয়-প্রশ্রয়দাতাদের নাম বেরিয়ে আসে। তাদের ধরতে তৎপর হন গোয়েন্দারা। তবে এর মধ্যে করোনা মহামারি ছড়িয়ে পড়লে সব যেন থমকে যায়। চাপা পড়ে ক্যাসিনোকাণ্ড কিংবা পাপিয়াকাণ্ডের মতো সারা জাগানো যতো ঘটনা। তদন্তকারী সংস্থা র্যাবের লিগ্যাল এন্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সারোয়ার বিন কাশেম আরটিভি অনলাইনকে জানান, এসব অপরাধের পেছনের কারিগরদের নাম যাচাই-বাছাই চলছে। প্রমাণ পেলেই জড়িতদের গ্রেপ্তার করা হবে। অপরদিকে পুলিশ সদরদপ্তরের এআইজি (মিডিয়া) সোহেল রানা আরটিভি অনলাইনকে বলেন, করোনা বাড়তি গুরুত্ব পেলেও গুরুত্বপূর্ণ মামলার তদন্ত কার্যক্রমে তেমন প্রভাব পড়বে না। গ্রেপ্তারকৃতদের বর্তমান অবস্থান নিয়ে নানা জল্পনা কল্পনা থাকলেও ইসমাইল হোসেন সম্রাট ও জি কে শামীম বন্দি অবস্থায় শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে চিকিৎসাধীন আর কারাগারেই বন্দি জীবন পার করছেন পাপিয়ার মতো অভিযুক্তরা।
করোনায় আটকে আছে আলোচিত সব মামলার তদন্ত
0
Share.