করোনায় সারা বিশ্বে বাড়ছে খাদ্যের দাম

0

 ডেস্ক রিপোর্ট: ধারাবাহিকভাবে টানা ৮ মাসের মতো চলতি বছরের জানুয়ারিতেও আন্তর্জাতিক বাজারে বাড়ল খাদ্যপণ্যের দাম। গত ৬ বছরের মধ্যে এখন সবচেয়ে চড়া খাদ্যের দাম। বেড়েছে খাদ্যশস্য, ভোজ্যতেল আর চিনির দাম। জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা এফএও বলছে, ২০২০ সালের ডিসেম্বরের তুলনায় ২০২১ সালের জানুয়ারিতে ৪ শতাংশের ওপরে বেড়েছে খাদ্যপণ্যের দাম।২০১৪ সালের জুলাই মাসে সবশেষ খাদ্যপণ্যে এ ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা ছিল। বেড়েছে আন্তর্জাতিকভাবে খাদ্যপণ্য আমদানি-রফতানি খরচও।এক মাসের ব্যবধানে খাদ্যশস্যের দাম বেড়েছে ৭ শতাংশ। ভুট্টার দাম এক মাসের ব্যবধানে বেড়েছে ১১ শতাংশ। আর এক বছরের ব্যবধানে বেড়েছে ৪২ শতাংশ। বিশ্বের সরবরাহ ব্যবস্থা ব্যাহত হলেও ২০২০ সালে অনেক বেশি ভুট্টা আমদানি করেছে চীন। এদিকে প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কমেছে গত বছর ভুট্টার আবাদ। যুক্তরাষ্ট্রে প্রয়োজনীয় মজুতও ছিল না ভুট্টার। যে কারণে তৈরি হয়েছে সংকট, বেড়েছে দাম। আর্জেন্টিনা আবার সাময়িকভাবে বন্ধ করেছিল ভুট্টার রফতানি।এফএও রিপোর্ট বলছে, চাহিদা বাড়ায় গমের দাম বেড়েছে প্রায় ৭ শতাংশ। এ সময় রাশিয়া কমিয়েছে গমের রফতানি। অথচ ২০২১ সাল থেকে গম রফতানিতে শুল্ক হতে যাচ্ছে দ্বিগুণ। এদিকে এশিয়া আর আফ্রিকার দেশগুলোতে চালের চাহিদা বাড়ায় বেড়েছে চালের দামও।ডিসেম্বরের তুলনায় জানুয়ারিতে ভোজ্যতেলের দাম বেড়েছে প্রায় ৬ শতাংশ। যা ২০১২ সালের মার্চ মাসের পর সর্বোচ্চ। ইন্দোনেশিয়া আর মালয়েশিয়ায় পাম অয়েলের উৎপাদন কমেছে। অতিরিক্ত বৃষ্টি আর শ্রমিক সংকটে ব্যাহত হয়েছে উৎপাদন। বিক্ষোভের কারণে আর্জেন্টিনা কমিয়েছে সয়াবিন তেলের রফতানি। ভোজ্যতেলের চাহিদা। এ জন্য ঊর্ধ্বমুখী এ নিত্যপণ্যের দাম।এদিকে, ডিসেম্বরের তুলনায় জানুয়ারিতে ৮ শতাংশ বেড়েছে চিনির দাম। ইউরোপে চাহিদা থাকলেও বৈরী আবহাওয়ার কারণে রাশিয়া, দক্ষিণ আমেরিকা ও থাইল্যান্ডে কম ছিল চিনির উৎপাদন। মাস ব্যবধানে দুগ্ধজাত পণ্যের দাম বেড়েছে দেড় শতাংশের বেশি। নিউজিল্যান্ড থেকে সরবরাহ কমায় সংকট তৈরি হওয়ায় বেড়েছে দাম। এক মাসের ব্যবধানে মাংসের দামও বিশ্বব্যাপী ১ শতাংশ বেড়েছে।

Share.