ডেস্ক রিপোর্ট: চলমান করোনা মহামারিতে বিশ্বজুড়ে দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা আরও কমেছে। একইসঙ্গে আগের দিনের তুলনায় কমেছে নতুন শনাক্ত রোগীর সংখ্যাও। গত ২৪ ঘণ্টায় সারা বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রাণহানি নেমেছে ১২০০-র নিচে। একই সময়ে ভাইরাসটিতে নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা নেমে এসেছে প্রায় সাড়ে ৪ লাখে। এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বজুড়ে সবচেয়ে বেশি সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে দক্ষিণ কোরিয়ায়। অন্যদিকে দৈনিক প্রাণহানির তালিকায় শীর্ষে রয়েছে রাশিয়া। প্রাণহানির তালিকায় এরপরই রয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া, থাইল্যান্ড, ইতালি, গ্রিস ও জাপান। এতে বিশ্বব্যাপী করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৫০ কোটি ৪৭ লাখের ঘর। অন্যদিকে মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৬২ লাখ ২৩ হাজার। সোমবার (১৮ এপ্রিল) সকালে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত, মৃত্যু ও সুস্থতার হিসাব রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারস থেকে পাওয়া সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১ হাজার ১৮৪ জন। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় মৃত্যুর সংখ্যা কমেছে চার শতাধিক। এতে বিশ্বজুড়ে মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ৬২ লাখ ২৩ হাজার ৩৫ জনে। একই সময়ের মধ্যে ভাইরাসটিতে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৪ লাখ ৫২ হাজার ৬০৩ জন। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় নতুন শনাক্ত রোগীর সংখ্যা কমেছে ১ লাখের বেশি। এতে মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত ভাইরাসে আক্রান্ত মোট রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫০ কোটি ৪৭ লাখ ৫১ হাজার ৯৭০ জনে। এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে করোনায় সবচেয়ে বেশি সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে দক্ষিণ কোরিয়ায়। গত একদিনে দেশটিতে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৯৩ হাজার ১ জন এবং মারা গেছেন ২০৩ জন। করোনা মহামারির শুরু থেকে পূর্ব এশিয়ার এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ১ কোটি ৬৩ লাখ ৫ হাজার ৭৫২ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ২১ হাজার ৯২ জন মারা গেছেন। অন্যদিকে দৈনিক প্রাণহানির তালিকায় শীর্ষে রয়েছে রাশিয়া। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ২৩৩ জন এবং নতুন করে করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন ১০ হাজার ২৬৩ জন। এছাড়া মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ১ কোটি ৮০ লাখ ৭৪ হাজার ৭১৭ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৩ লাখ ৭৩ হাজার ৫০০ জনের। ফ্রান্সে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৮৬ হাজার ৬৫০ জন এবং মারা গেছেন ৩৫ জন। করোনা মহামারির শুরু থেকে দেশটিতে এখন পর্যন্ত ২ কোটি ৭৭ লাখ ৭১ হাজার ২৪ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ১ লাখ ৪৪ হাজার ১৫৭ জন মারা গেছেন। থাইল্যান্ডে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১৭ হাজার ৭৭৫ জন এবং মারা গেছেন ১২৮ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় যুক্তরাষ্ট্রে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৭ হাজার ২৩৫ জন এবং মারা গেছেন ১০ জন। করোনাভাইরাসে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৮ কোটি ২৩ লাখ ১৬ হাজার ৩৪৮ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ১০ লাখ ১৫ হাজার ৪৫১ জন মারা গেছেন। জার্মানিতে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ২৬ হাজার ৭১৬ জন এবং মারা গেছেন ১৪ জন। করোনা মহামারির শুরু থেকে ইউরোপের এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ২ কোটি ৩৪ লাখ ৩৮ হাজার ২৯৩ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ১ লাখ ৩৩ হাজার ৪২৯ জন মারা গেছেন। গত একদিনে জাপানে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৪৭ হাজার ৯ জন এবং মারা গেছেন ৪৭ জন। লাতিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল করোনায় আক্রান্তের দিক থেকে তৃতীয় ও মৃত্যুর সংখ্যায় তালিকার দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১৮ জন এবং নতুন করে করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন ২ হাজার ৫৪১ জন। অপরদিকে মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৩ কোটি ২ লাখ ৫২ হাজার ৬১৮ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৬ লাখ ৬২ হাজার ১১ জনের। করোনায় আক্রান্তের তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে প্রতিবেশী দেশ ভারত। তবে ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যার তালিকায় দেশটির অবস্থান তৃতীয়। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১ জন এবং নতুন করে করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন ১ হাজার ১৬৯ জন। মহামারির শুরু থেকে দেশটিতে এখন পর্যন্ত মোট আক্রান্ত হয়েছেন ৪ কোটি ৩০ লাখ ৪৩ হাজার ২৬৬ জন এবং মারা গেছেন ৫ লাখ ২১ হাজার ৭৮২ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় তুরস্কে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৩ হাজার ২৬৮ জন এবং মারা গেছেন ১৭ জন। একই সময়ে ইতালিতে নতুন করে ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৫১ হাজার ৯৯৩ জন এবং মারা গেছেন ৮৫ জন। ভিয়েতনামে নতুন করে ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়েছেন ১৪ হাজার ৬৬০ জন এবং মারা গেছেন ১০ জন। এছাড়া করোনায় আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় হংকংয়ে ২৯ জন, ইরানে ২৯ জন, গ্রিসে ৫১ জন, চিলিতে ৩২ জন এবং ইন্দোনেশিয়ায় ২২ জন মারা গেছেন। অন্যদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় মেক্সিকোতে মারা গেছেন ৩৫ জন। মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত উত্তর আমেরিকার এই দেশটিতে মৃত্যু হয়েছে ৩ লাখ ২৩ হাজার ৯৩৮ জনের। উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এরপর ২০২০ সালের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে ‘বৈশ্বিক মহামারি’ হিসেবে ঘোষণা করে। এর আগে একই বছরের ২০ জানুয়ারি বিশ্বজুড়ে জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে সংস্থাটি।