করোনা টিকার হিউম্যান চ্যালেঞ্জ ট্রায়াল দাবি

0

ডেস্ক রিপোর্ট: করোনার টিকা উন্নয়ন দ্রুততর করতে ‘হিউম্যান চ্যালেঞ্জ ট্রায়াল’ শুরুর আহ্বান জানিয়েছেন শতাধিক বিজ্ঞানী। তারা যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব হেলথের পরিচালক ফ্রান্সিস কলিন্সের কাছে চিঠি লিখেছেন। তারা লিখেন, চ্যালেঞ্জ ট্রায়াল যদি টিকার উন্নয়ন প্রক্রিয়াকে নিরাপদ ও দ্রুত কার্যকর করে তা হলে তা বিশ্ববাসীর জন্য কল্যাণকর হবে। এদিকে যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল সাইবার সিকিউরিটি সেন্টারের (এনসিএসসি) দাবি- যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার করোনা টিকা উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোতে সাইবার হামলার চেষ্টা চালাচ্ছে রাশিয়ার গোয়েন্দা সংস্থাগুলো। তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছে রাশিয়া। সাধারণত যে কোনো ভ্যাকসিন বা টিকা তৈরিতে কয়েক বছর সময় লাগে এবং কয়েকটি পর্যায়ের ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়। ট্রায়ালে সংক্রমিত এলাকার সুস্থ মানুষের দেহে টিকা প্রবেশ করানো হয়। টিকা পাওয়ার পর এই মানুষগুলো ভাইরাসে সংক্রমিত হন কিনা তা যাচাই করা হয় ট্রায়ালগুলোতে। তবে হিউম্যান চ্যালেঞ্জ ট্রায়াল পদ্ধতি প্রচলিত পদ্ধতির কিছুটা বিপরীত। এই পদ্ধতিতে স্বেচ্ছাসেবকদের শরীরে ইচ্ছা করে ভাইরাস প্রবেশ করিয়ে দেয়া হয়। এই পদ্ধতির সমর্থকরা মনে করেন, এ ধরনের পরীক্ষার ফলে টিকা তৈরির অমূল্য সময় বাঁচবে এবং গবেষকদের বাস্তবিক ক্ষেত্রে সংক্রমিতদের জন্য অপেক্ষা করতে হবে না।ওই চিঠিতে দুই হাজারের বেশি স্বেচ্ছাসেবক স্বাক্ষর করেছেন, যারা চ্যালেঞ্জ ট্রায়ালে অংশ নিতে ইচ্ছুক। তাদের পক্ষে ওয়ান ডে সুনার নামে একটি পরামর্শক প্রতিষ্ঠান চিঠিটি প্রকাশ করেছে। শতাধিক বিজ্ঞানীর লেখা চিঠিতে মার্কিন সরকার ও আন্তর্জাতিক গোষ্ঠীগুলোকে নিরাপদ ও নির্ভরযোগ্য টিকার উৎপাদনকে সমর্থনসহ দ্রুত হিউম্যান চ্যালেঞ্জ ট্রায়াল আয়োজনের আহ্বান জানানো হয়েছে।যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল সাইবার সিকিউরিটি সেন্টার জানিয়েছে, প্রায় নিশ্চিতভাবে ‘রাশিয়ার গোয়েন্দা সংস্থাগুলো’র পক্ষে হ্যাকাররা টিকার তথ্য চুরির জন্য হামলা চালাচ্ছে। অবশ্য কোন প্রতিষ্ঠানগুলোকে হামলার লক্ষ্যবস্তু বানানো হয়েছে কিংবা কোনো তথ্য চুরি গেছে কিনা সে ব্যাপারে বিস্তারিত তথ্য জানায়নি এনসিএসসি। তবে হ্যাকাররা এই টিকা গবেষণা কার্যক্রম ব্যাহত করতে পারেনি বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডমিনিক রাব বলেছেন, যারা করোনা মহামারী মোকাবেলায় কাজ করছে তাদেরকেই রাশিয়ার গোয়েন্দা সংস্থাগুলো টার্গেট করছে- যা অগ্রহণযোগ্য।তবে রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেশকভ বলেছেন, কারা গ্রেট ব্রিটেনের ফার্মাসিউটিক্যালস কোম্পানি ও গবেষণা কেন্দ্রগুলো হ্যাক করতে পারে সে ব্যাপারে কোনো তথ্য আমাদের কাছে নেই। আমরা একটি বিষয় বলতে পারি, এই চেষ্টার সঙ্গে রাশিয়ার কোনো সম্পর্কই নেই।

Share.