করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত দেশগুলো থেকে বাংলাদেশে আসতে নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে: কাদের

0

ঢাকা অফিস: করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত দেশ থেকে বাংলাদেশে আসতে সরকারের পক্ষ থেকে নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। বিষয়টি শনিবার থেকে কঠোরভাবে দেখা হচ্ছে বলেও তিনি জানান। আজ রবিবার আওয়ামী লীগের সম্পাদকমণ্ডলীর সভা শেষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান। আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় গৃহীত বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর কর্মসূচি সংবাদ সম্মেলনে ঘোষণা করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের উত্তরে ওবায়দুল কাদের বলেন, করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় আমরা এখন প্রস্তুত। সরকার যেমন প্রস্তুত আমাদের দলও প্রস্তুত। আমাদের এখানে এখনো সংক্রমিত হওয়ার উদাহরণ নেই। যারা সংক্রমিত তারা বিদেশ থেকে এসেছে। বাকি যারা আসছে তাদের কোয়ারেন্টাইনের ব্যাপারে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত দেশ থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ সরকার থেকে নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে। শনিবার (১৪ মার্চ) থেকে বিষয়টি কঠোরভাবে দেখা হচ্ছে। তিনি বলেন, আজ আন্তর্জাতিক ভাবে যে ভাইরাসটি আতঙ্কের সৃষ্টি করেছে, যেটা দেশে দেশে ছড়িয়েছে, এটা এন্ডেমিক থেকে এপিডেমিকে রুপ নিয়েছে। একটা মহামারী আকার ধারণ করেছে। যে কারণে আমাদের দেশেরও উদ্বেগ, উৎকণ্ঠা রয়েছে। আমাদের জনগণের মধ্যে এ নিয়ে দুশ্চিন্তা আছে। কারণ বাংলাদেশ খুব জনবহুল দেশ। আজ জার্মানি, ব্রিটেনের মতো দেশ বাদ যাচ্ছে না, দক্ষিণ কোরিয়াসহ বিশ্বের ১৪৯টি দেশ আক্রান্ত হয়েছে। আক্রান্তের সংখ্যাও বেড়ে যাচ্ছে। এ কারণে আমাদের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানটি পরিবর্তিত পুনর্বিন্যাস কর্মসূচি ঘোষণা করেছি। চীনই একমাত্র কনট্রোল করতে পেরেছে এবং তারা কিভাবে কনট্রোল করেছে এ মর্মে একটা চিঠি আমাদের কাছে এসেছে। এ রোগের সংক্রমণ থেকে কীভাবে রক্ষা পাওয়া যায়, সেটায় সহযোগিতা করবে তারা, এমনই একটি আভাস দিয়ে একটা চিঠি আমাদের দিয়েছে। সম্পাদকমণ্ডলীর সভার বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, আজকের সভার আলোচ্য বিষয় ছিল মুজিববর্ষ। জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকীর পরিবর্তিত পুনর্বিন্যাস কর্মসূচির বিস্তারিত আলোচনা করেছি। এ বিষয়ে সারা বাংলাদেশে জেলা উপজেলা মহানগর এমনকি ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর‌্যন্ত আমরা নির্দেশনা দিয়েছি। মঙ্গলবার (১৭ মার্চ) রাত ৮টায় বঙ্গবন্ধু জন্ম নিয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন যে দিনে সেদিনই শতবার্ষিকী হয়ে গেছে। ১৭ মার্চ ভোর সাড়ে ৬টায় বঙ্গবন্ধু ভবন, আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার‌্যালয়সহ সারা দেশের সব আওয়ামী লীগের কার‌্যালয়ে দলীয় পতাকা উত্তোলিত হবে। সকাল ৭টায় বঙ্গবন্ধু ভবনের সামনে অবস্থিত বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করবে আওয়ামী লীগ। দলের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার‌্যনির্বাহী কমিটির সবাইকে নিয়ে টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতার সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন ও দোয়া মাহফিল করবেন। এছাড়া দেশের সব ধর্মীয় উপাসানালয়ে বিশেষ প্রার্থনা করা হবে। এতিম ও দুস্থদের মধ্যে খাবার ও ত্রাণ বিতরণ হবে। দুপুরে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের শিখা চিরন্তনে অসহায় দুস্থদের মধ্যে খাবার, বস্ত্র ও করোনা ভাইরাস প্রতিরোধের ব্যবহার‌ সামগ্রী বিতরণ করবে আওয়ামী লীগ। রাত ৮টায় বঙ্গবন্ধু জন্মক্ষণ উপলক্ষে সারা দেশে একযুগে আতশবাজি প্রদর্শনী ও ফানুস উত্তোলন হবে। ঢাকার রবীন্দ্র সরোবর, হাতিরঝিল, ২৩ বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউ, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, টিএসটি ও জাতীয় সংসদ ভবন এলাকায় আতশবাতি প্রদর্শনী হবে। রাজধানীর প্রধান প্রধান সড়কে সাজসজ্জা হবে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদ্যাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির উদ্যোগে রাত ৮টার পরে একযোগে সব গণমাধ্যমে অনুষ্ঠান প্রচারিত হবে।

Share.