ডেস্ক রিপোর্ট: করোনা ভাইরাসের বিস্তার ঠেকানোর চেষ্টায় দেশের বেশিরভাগ দোকানপাট, রেস্তোরাঁ ও বিনোদন কেন্দ্র বন্ধ ঘোষণা করেছে ফ্রান্স। সেদেশের প্রধানমন্ত্রী এদুয়ার্দ ফিলিপ জানিয়েছেন, ‘অপরিহার্য নয়’ এমন জনপরিসরগুলো এ ঘোষণার আওতায় পড়বে। তবে খাবার ও চিকিৎসা সরঞ্জামাদির দোকান ও পেট্রোল স্টেশনগুলো এর আওতামুক্ত থাকবে। রবিবার দেশজুড়ে স্থানীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্তও অপরিবর্তিত আছে। তবে মানুষের মধ্যকার নিরাপদ পারস্পরিক ব্যবধান নিশ্চিত করতে ও পরিচ্ছন্ন উপকরণ ব্যবহার করতে নেওয়া হয়েছে বেশ কিছু পদক্ষেপ। দ্য ইন্ডিপেনডেন্টের প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে। গত দুই সপ্তাহে করোনা ভাইরাস চীনের বাইরে ১৩ গুণ বৃদ্ধি পাওয়ার প্রেক্ষাপটে বুধবার (১১ মার্চ) পৃথিবীব্যাপী মহামারি ঘোষণা করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। উৎপত্তিস্থল চীনে ৮০ হাজারেরও বেশি মানুষ আক্রান্ত হলেও সেখানে ভাইরাসটির প্রাদুর্ভাব কমে গেছে। তবে বিশ্বের অন্যান্য দেশে এই ভাইরাসের প্রকোপ বাড়ছে। আন্তর্জাতিক জরিপ সংস্থা ওয়ার্ল্ড ওমিটার-এর ওয়েবসাইট অনুযায়ী, ফ্রান্সে এ পর্যন্ত করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে, ৪,৪৬৯ জন। এদের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ৯১ জনের। ফরাসি কর্তৃপক্ষ এরইমধ্যে সব স্কুল বন্ধ করে দিয়েছে, ১০০ এর বেশি মানুষের জমায়েত নিষিদ্ধ করা হয়েছে এবং মানুষকে দেওয়া হয়েছে সামাজিক জীবন-যাপন সীমিত করার পরামর্শ। তবে ফ্রান্সের প্রধানমন্ত্রী ফিলিপমিনে করেন, এইসব ব্যবস্থাগুলো ভালোভাবে বাস্তবায়িত হয়নি। তিনি বলেন, ‘আমাদের অবশ্যই একসঙ্গে আরও বেশি শৃঙ্খলা দেখানো প্রয়োজন।’ এর আগে, শনিবার (১৪ মার্চ) গণজমায়েত নিষিদ্ধের প্রতিবাদ জানিয়েছে সরকারবিরোধী ইয়েলো ভেস্ট আন্দোলনকারীরা। সেসময় পুলিশ তাদের ওপর টিয়ার গ্যাস ছুড়লে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।
করোনা ভাইরাস: ফ্রান্সে বেশিরভাগ দোকানপাট, রেস্তোরাঁ ও বিনোদনকেন্দ্র বন্ধ ঘোষণা
0
Share.