ঢাকা অফিস: করোনাভাইরাস সংক্রমণের মধ্যে গণপরিবহন বন্ধ থাকলেও পণ্যবাহী পরিবহন চলছে। এরপরও বাজারে নিত্যপণ্যের দাম বাড়ছে। এমনকি ভোজ্য তেলে লিটারে ৪ টাকা কমানোর ঘোষণা এলেও আগের দামেই তেল বিক্রি হচ্ছে। চাল, আটা, ময়দা, ডাল, ও চিনি চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে।শনিবার (০৩ জুলাই) রাজধানীর মোহাম্মদপুর, আজিমপুর, উত্তরা ও বাড্ডা এলাকায় ঘুরে দেখা গেছে, সয়াবিন তেল প্রতি কেজি ১৫৩ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অথচ শুক্রবার (০১ জুলাই) থেকে খুচরা বাজারে প্রতি লিটার সয়াবিন তেল ১৪৯ টাকায় বিক্রির ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল। একইভাবে ৫ লিটার বোতলের তেল ৭১২ টাকায় বিক্রি করার কথা থাকলেও বিক্রি হচ্ছে ৭৩৫-৭৪০ টাকায়।গত ৩০ জুন ভোজ্যতেল পরিশোধন ও বিপণনকারীদের সংগঠন বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে প্রতি লিটার ভোজ্য তেলের ৪ টাকা কমানোর ঘোষণা দেয়। গত শুক্রবার থেকে খুচরা বাজারে কার্যকর হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু খুচরা বাজারে আজ (শনিবার) তা বাস্তবায়ন হয়নি।সংগঠনের সচিব নূরুল ইসলাম মোল্লা গণমাধ্যমকে বলেন, আমরা তেলে দাম কমিয়েছি। খুচরা ব্যবসায়ীরা না কমালে বাজার মনিটরিং টিম বিষয়টি দেখবে। তবে খুচরা ব্যবসায়ীরা বলছেন, বেশি দামে তেল আগে কেনায় বাজারে দাম কমলেও কমানো সম্ভব হচ্ছে না।মালিবাগ বাজারে সয়াবিন তেল কিনতে আসা ফজলু মিয়া বলেন, বাজারে সয়াবিন তেলের দাম কমেছে এটি খবরে শুনেছি। কিন্তু বাস্তবে আগের বাড়তি দামেই তেল বিক্রি হচ্ছে।তেলের পাশাপাশি চাল-ডাল বিক্রি হচ্ছে বাড়তি দামে। বাজারে সবচেয়ে কম দামের মোটা চালের (পাইজম) কেজি ৫০ টাকা। ২৮-২৯ নম্বর চাল বিক্রি হচ্ছে ৫২-৫৪ টাকা কেজিতে। এর চেয়ে চিকন চাল বিক্রি হচ্ছে ৫৫-৫৮ টাকা কেজিতে। ভালো মানের নাজির ও মিনিকেট চাল ৬৫ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। আর একটু নিম্নমানের মিনিকেট ও নাজির বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা কেজিতে। আর বাসমতি চাল বিক্রি হচ্ছে ৮০-৯০ টাকা কেজিতে।মশুরের মোটা দানার ডাল প্রতিকেজি ৮০-৯০ টাকা। মাঝারি দানার ডাল ৯০-১০০ টাকা এবং ছোট দানার ডাল বিক্রি হচ্ছে ১২০-১২৫ টাকা কেজি। মুগ ডাল বিক্রি হচ্ছে ১১০-১৩০ টাকা কেজিতে। খোলা আটা প্রতিকেজি ৩২-৩৩ টাকা, প্যাকেটজাত আটা ৩৫ টাকা, খোলা ময়দা ৩৬-৪০ টাকা এবং চিনি প্রতিকেজি ৭০-৭৫ টাকায় বাজারে বিক্রি হচ্ছে।