ডেস্ক রিপোর্ট: করোনা দুঃসময় কাটতে শুরু করলেও নানা জটিলতায় জনশক্তি রপ্তানিতে সুসময় ফিরছে না। গত ৫ মাসে ২৩টি দেশ থেকে ৮০ হাজারের বেশি শ্রমিক ফিরে আসার পাশাপাশি বিদেশ যাওয়ার অনুমতি পেলেও আরো অন্তত ১ লাখ শ্রমিক অপেক্ষায় রয়েছেন। কিন্তু উন্নত দেশগুলোতে শ্রমিক নেয়ার বিধি-নিষেধ থাকায় তারা কেউই যেতে পারছেন না। ‘আমার আকামার মেয়াদ বাড়ানোর জন্য সময় নিলেও করোনার কারণে সেটি বাতিল হয়েছে। এখন আকামা শেষ হয়ে গেছে।’- কথাগুলো বলছিলেন একজন প্রবাসী। তার মতো কয়েক লাখ শ্রমিক গত নয় মাস ধরে আটকে আছেন দেশে। বিশেষ করে করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে মার্চ মাসের শুরু থেকেই বিদেশে শ্রমিক যাওয়া বন্ধ হয়ে যায়। অথচ এ সময়ে কাজের সূত্রে বিদেশে যাওয়ার অনুমতি নিয়ে রেখেছিলো এক লাখের বেশি শ্রমিক। সে সাথে ১ এপ্রিল থেকে ১৮ আগষ্টের মধ্যে আরো ৭৮ হাজার ৪৩ জন শ্রমিককে কাজ হারিয়ে দেশে ফিরতে হয়েছে।চট্টগ্রাম শ্রম ও জনশক্তি রপ্তানি কার্যালয়ের উপ পরিচালক জহিরুল আলম মজুমদার বলেন, ‘কোনো সুনির্দিষ্ট নীতিমালা না থাকায়, একেক দেশ একেক নিয়ম করায় প্রবাসীরা তথ্যগত অনেক সমস্যায় পড়ছে।’ দেশে এসে আটকা পড়া শ্রমিকদের তথ্য মতে, প্রতি বছরই অক্টোবর থেকে শুরু হয় দেশে ছুটি কাটানোর সময়। সে অনুযায়ী ২০১৯ সালের অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ছুটি কাটাতে আসা আরো হাজার হাজার শ্রমিক তাদের নিজ নিজ কর্মস্থলে যেতে পারেননি।ভুক্তভোগীদের একজন বলেন, ‘দেশে এসে বসে আছি অনেকদিন। কোনো কাজকাম নেই। কত কষ্টে আছি এগুলো দেখার কেউ নেই।’করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো এখনো শ্রমিক নেয়া শুরু করেনি। তবে বাংলাদেশস্থ দূতাবাসগুলো পূর্ণাঙ্গভাবে কাজ শুরু করলে জনশক্তি রপ্তানিতে অগ্রগতি হওয়ার আশাব্যক্ত করেছেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইলিয়াস হোসেন।গত অর্থ বছরে বিভিন্ন দেশ থেকে প্রবাসীরা রেমিটেন্স পাঠিয়েছেন ১ হাজার ৮২০ কোটি মার্কিন ডলার। যা সর্বকালের রেকর্ড।
কর্মস্থলে ফেরার অপেক্ষায় লাখো প্রবাসী শ্রমিক
0
Share.