ডেস্ক রিপোর্ট: কর্মস্থলে মুসলিম নারীদের হিজাবসহ অন্যান্য ধর্মীয় পোশাক নিষিদ্ধে নিয়োগকর্তাদের সমর্থন দিয়েছেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের শীর্ষ আদালত।বৃহস্পতিবার (১৬ জুলাই) ইইউ’র বিচার আদালত জানিয়েছে, এই সিদ্ধান্ত কেবল হিজাবের ক্ষেত্রে নয়। বরং কর্মক্ষেত্রে নির্দিষ্ট কোন ধর্মকে উপস্থাপন করে এমন ধরনের পোশাক নিষিদ্ধ করা হয়েছে। কর্মক্ষেত্রে ধর্মীয় পোশাক মূলত গ্রাহক কিংবা ভোক্তার ওপরে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। যা ধর্ম নিরপেক্ষতার পরিপন্থী হিবেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।আয়ারল্যান্ডভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ইন্ডিপেন্ডেন্ট এমন খবর দিয়েছে।আদালত আরও মনে করেন, কর্মক্ষেত্রে নির্দিষ্ট একটি ধর্মীয় পোশাক মূলত অন্য ধর্মের মানুষদের কাছে নেতিবাচক প্রভাবক হিসেবে কাজ করে। বিশেষ করে বাবা-মায়েরা স্কুল-কলেজে ধর্মীয় মেনিফেস্টো ছড়ায়, এমন সব পোশাককে শিশুদের জন্য নিরাপদ মনে করছেন না। বিচারকরা তাদের অভিমতে জানান, অভিবাবকরা মূলত তাদের সন্তানদের জন্য একটি মুক্তমনা প্রতিষ্ঠান চায়। শিক্ষকদের দ্বারা যাতে ধর্মীয় মেনিফেস্টো না ছড়ায় সেদিকে নজর দিতে হবে।ব্যক্তি স্বাধীনতার কথা বলতে গিয়ে বিচারকরা বলেন, ব্যাক্তি স্বাধীনতা যেন কর্মক্ষেত্রের নৈতিকতাকে বিনষ্ট না করে।সম্প্রতি জার্মানির একটি সুপার শপে একজন বিক্রয়কর্মী এবং আরেকজন ক্যাশিয়ার নারীর হিজাব পড়া নিয়ে এই গোলযোগের সৃষ্টি হয়। সুপার শপটি তাদের হিজাব ছাড়া কর্মক্ষেত্রে আসতে চাপ প্রয়োগ করলে দুজনই প্রতিবাদ করেন। এতে করে একজন চাকুরি হারান, অন্য আরেকজনকে তার পদ থেকে সরিয়ে ভিন্ন পদে দেয়া হয়।উল্লেখ্য, লুক্সেমবার্গভিত্তিক ইউরোপীয় ইউনিয়নের কোর্ট অফ জাস্টিসের রুলিং দেয়া হয়েছে ২০১৭ সালের আন্তর্জাতিক কোম্পানি আইন অনুসারে। একটি কোম্পানি চাইলেই তার কর্মীদের ধর্মীয় পোশাক না পরতে বাধ্য করতে পারে। ভোক্তাদের মানসিকতার ওপর ভিত্তি করে এই আইন জারি করা হলেও মুসলিম দেশগুলো আদালতের এমন আচারণকে ইসলামবিদ্বেষ বলে আখ্যায়িত করে আসছে।সম্প্রতি জার্মানি হিজাব নিষিদ্ধকরণের সিদ্ধান্ত নেয়। এরই জের ধরে দুই জার্মান মুসলিম নারী আদালতের শরণাপন্ন হয়। এ ব্যাপারে আদালত ধর্ম নিরপেক্ষতার আশ্রয় নেয় এবং সিদ্ধান্ত দেয়া হয় যে, কর্মক্ষেত্রে নির্দিষ্ট কোন ধর্মকে উপস্থাপন করে এমন কোন পোশাক পরিধান করা যাবে না।
কর্মস্থলে হিজাব নিষিদ্ধের পক্ষে ইউরোপীয় আদালত
0
Share.