কলকাতার বাজারে স্লোগান, কোনও অভাব পড়তে দেবে না হাসিনা সরকার

0

ডেস্ক রিপোর্ট:  দুর্গাপূজার মৌসুমে ইলিশ মাছ ভারতে রপ্তানির অনুমোদন দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। গত বুধবার রাতেই বেনাপোল দিয়ে ইলিশের চালান ভারতে যায়। কলকাতার বাজারে বৃহস্পতিবারই উঠেছে বাংলাদেশের ইলিশ।শুক্রবার (২৪ সেপ্টেম্বর) জি নিউজের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অন্তত ভাইফোঁটা পর্যন্ত নিশ্চিন্ত, কলকাতার বাজারে ইলিশের ছড়াছড়ি। দাম শুনলে চমকে যাবেন।প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ্য করা হয়েছে, কলকাতার বিভিন্ন বাজারে এখন শোনা যাচ্ছে- কত খাবেন? যত ইচ্ছে খান…কোনও অভাব পড়তে দেবে না হাসিনা সরকার। কেন?কারণ পশ্চিমবঙ্গকে পূজার উপহার পাঠিয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অন্তত ভাইফোঁটা পর্যন্ত রাজ্যবাসীর ইলিশের অভাব ঘুচতে চলেছে। প্রত্যাশা ছিল ২ হাজার ৮০ মেট্রিক টনের। মিলছে ৪৬০০ মেট্রিক টন। পরশু বাংলাদেশ থেকে এ রাজ্যে এসেছে ৮০ টন ইলিশ, বৃহস্পতিবার পরিমাণটা ছিল ২০০ টন, শুক্রবার রাজ্যে আসছে আরও ২৫০ মেট্রিক টন ইলিশ। সীমান্ত পেরিয়ে টনকে টন রুপালী শস্য ঢুকতে শুরু করেছে এই রাজ্যে।এদিকে ভারতে ইলিশ রপ্তানি শুরু হওয়ার আগেই রপ্তানি হবে এই খবরেই বাংলাদেশে ইলিশের দাম বাড়া শুরু করে। আর রপ্তানি শুরুর পর দাম বাড়া অব্যাহত আছে।চাঁদপুরের ইলিশ ব্যবসায়ী খান এন্টারপ্রাইজের গিয়াস উদ্দিন খান বিপ্লব বলেন, প্রধানত তিন কারণে ইলিশের দাম বেড়ে গেছে। ভারতে ইলিশ রপ্তানির চাপ, জো না থাকায় মাছ কিছুটা কম ধরা পড়ছে আর ৪ অক্টোবর থেকে ইলিশ ধরায় নিষেধাজ্ঞা।তিনি জানান, কিছুদিন আগেও এক কেজি ওজনের একটি মিঠা পানির পদ্মার ইলিশ বিক্রি হতো এক হাজার ১০০ টাকা। এখন তা বিক্রি হচ্ছে এক হাজার ২৫০ টাকায়। গত বছর এই ইলিশ বিক্রি হয়েছে ৯০০ টাকায়। এর থেকে ছোট আকারে ৫০০-৭০০ গ্রামের ইলিশ প্রতি কেজি বিক্রি হত সর্বোচ্চ ৬০০ টাকা। এখন বিক্রি হচ্ছে ৭৫০ টাকা।২০১২ সালে ভারতে ইলিশ রপ্তানি বন্ধ করা হয়। এরপর ২০১৯ সালে আবার রপ্তানি শুরু হয়। তখন থেকে প্রতি বছর ৫০০ টন ইলিশ রপ্তানি হতো। কিন্তু এবার রপ্তানি করা হচ্ছে ৪ হাজার ৬০০ মেট্রিক টন । গত বছর বাংলাদেশে পাঁচ লাখ ৫০ হাজার মেট্রিক টন ইলিশ আহরণ করা হয়। বাংলাদেশে মোট মৎস্য উৎপাদনে ইলিশের পরিমাণ ১২.৫ ভাগ।

Share.