ঢাকা অফিস: নৌবাহিনীর কর্মকর্তা ওয়াসিফ আহমেদ খানকে মারধরের মামলায় ঢাকা-৭ আসনের সংসদ সদস্য হাজী সেলিমের ছেলে ইরফানকে কাউন্সিলর পদ থেকে আজই সাময়িক বরখাস্ত করা হবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম। এছাড়া পূর্ণাঙ্গ তদন্ত শেষে তাকে স্থায়ীভাবে বরখাস্ত করা হবে বলে জানান তিনি। মঙ্গলবার দুপুরে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সামনে এ কথা বলেন তিনি। মন্ত্রী বলেন, আইন অনুসারে প্রথমে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হবে। এরপর স্থায়ীভাবে বরখাস্ত করা হবে। মাদক নিয়ন্ত্রণ আইনে ও অবৈধ ওয়াকিটকি রাখার দায়ে সাজা হওয়ায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ইরফান সেলিম তার পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত হতে যাচ্ছেন। সিটি করপোরেশন থেকে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র স্থানীয় সরকার বিভাগে গেলে এ সংক্রান্ত চিঠি জারি করা হবে। স্থানীয় সরকার বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, দক্ষিণ সিটি করপোরেশন থেকে দণ্ডিত হওয়ার বিষয়ে রিপোর্ট পেলে আমরা তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব। তিনি (ইরফান সেলিম) বরখাস্ত হবেন। আইনে (স্থানীয় সরকার সিটি করপোরেশন আইন) বলা হয়েছে, কেউ সাজাপ্রাপ্ত হলে তিনি বরখাস্ত হবেন। নৌবাহিনীর কর্মকর্তাকে মারধরের ঘটনায় মামলায় গতকাল সোমবার হাজী সেলিমের ছেলে এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৩০ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ইরফানের বাসায় অভিযান চালায় র্যাব। ৮তলা ভবনের প্রতিটি ফ্লোরে অভিযান চলে। ইরফানের বাসা থেকে বেশ কিছু অবৈধ জিনিস উদ্ধার করা হয়। এর মধ্যে ছিল একটি আগ্নেয়াস্ত্র, যেটা অবৈধ। সেটির কাগজপত্র দেখাতে পারেননি তিনি। এছাড়া ৫-৬ লিটার মদ ও ৪০০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। পাওয়া যায় বেশ কিছু বিয়ারের ক্যান। অভিযান চালিয়ে হাজী সেলিমের ছেলে ইরফান ও তার দেহরক্ষী জাহিদুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। পরে ইরফানকে মাদক নিয়ন্ত্রণ আইনে এক বছর ও অবৈধ ওয়াকিটকি রাখার দায়ে আরও ছয় মাস কারাদণ্ডাদেশ দেন র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলম। আর জাহিদুলকে অবৈধ ওয়াকিটকি বহনের দায়ে ছয় মাস কারাদণ্ড দেওয়া হয়। গত ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত সিটি করপোরেশন নির্বাচনে দলের বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীকে হারিয়ে জয়ী হন ইরফান। বিদেশে লেখাপড়া করে আসা ইরফান বাবার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান মদিনা গ্রুপের পরিচালকদের একজন।
কাউন্সিলর পদ থেকে আজই বরখাস্ত হচ্ছেন ইরফান
0
Share.