ডেস্ক রিপোর্ট: ত্বকের সঙ্গে সংস্পর্শ না হলে সেটি যৌন হয়রানি নয়। পোশাকের উপর দিয়ে স্তনে হাত দিলে প্রোটেকশন অব চিল্ড্রেন ফ্রম সেক্সুয়াল অফেন্সেস (পকসো) আইনের আওতায় যৌন নিপীড়নের মধ্যে ধরা হবে না। সম্প্রতি এমনই রায় দিয়েছে ভারতের বম্বে হাইকোর্ট। বম্বে হাইকোর্টের নাগপুর বেঞ্চের বিচারপতি পুষ্পা গানেদিওয়ালা রায়ে বলেন, কোনও নাবালিকা যৌন নিপীড়নের শিকার হয়েছে তা প্রমাণ করতে গেলে শারীরিক সংস্পর্শ হয়েছে সেটার প্রমাণ দিতে হবে। জামাকাপড় না খুলে যদি কেউ স্তনে হাত দেয় তাহলেওসেটি যৌন নিপীড়নের আওতায় পড়বে না।পকসোর’র ৭ নম্বর ধারা অনুযায়ী এই রায় দেয়া হয়েছে। ১২ বছরের একটি কিশোরীর যৌন হেনস্থা নিয়ে শুনানির রায় দিতে গিয়ে এমনই রায় দিয়েছে বম্বে হাইকোর্ট। তবে আদালতের এমন রায় নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন শিশু অধিকার কর্মীরা। বিচারপতিদের মধ্যেও গুঞ্জন শোনা গেছে।জানা যায়, ঘটনার শিকার মেয়েকে বাড়িতে ডেকে তার সঙ্গে অসভ্য আচরণ করেন এক ব্যক্তি। তার স্তনে হাত দিয়ে পোশাক খোলার চেষ্টা করেন। কিন্তু সেই মুহূর্তে তার মা এসে যাওয়ায় মেয়েটিকে ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে অভিযুক্ত। তার নামে স্থানীয় পুলিশ স্টেশনে এফআইআর করা হয়।অভিযোগ ভিত্তিতে ওই ব্যক্তিকে আটক করা হয়। তারপর মামলা বম্বে হাইকোর্ট পর্যন্ত গড়ায়। শুনানির রায়ে হাইকোর্ট জানান, পকসো আইনের আওতায় ওই ব্যক্তি দোষী নয়। তবে ৩৫৪ (শ্লীলতাহানি) ও ৩৪২ (জোর করে আটকে রাখা) ধারায় দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। কারণ এই ঘটনায় নাবালিকার ত্বকে স্পর্শ ও পেনিট্রেশন বা অঙ্গপ্রবেশের মতো ঘটনা ঘটেনি।উল্লেখ্য, পকসো আইনের ৭ নম্বর ধারায় বলা হয়েছে, যৌন উদ্দেশ্যে কেউ যদি কোনও শিশুর গোপনাঙ্গ, পুরুষাঙ্গ, পায়ু বা স্তন স্পর্শ করে বা শিশুটিকে স্পর্শ করতে বাধ্য করে বা যৌন উদ্দেশ্য অন্য যেকোনো কাজ করে যাতে শারীরিক সংস্পর্শ ঘটছে কিন্তু অঙ্গপ্রবেশের মতো ঘটনা না ঘটে তাহলে তাকে যৌন নির্যাতন হিসেবে গণ্য করা হবে।
কাপড় না খুলে শিশুর শরীরে হাত দেয়া যৌন হয়রানি নয়’
0
Share.