কাশ্মীরের স্বাধীনতার পক্ষের নেতা গিলানির মৃত্যু

0

ডেস্ক রিপোর্ট: কাশ্মীরের স্বাধীনতার দাবির পক্ষের নেতা সৈয়দ আলি গিলানি মারা গেছেন।  বুধবার (১ সেপ্টেম্বর) রাতে তার শ্রীনগরের বাড়িতে মৃত্যু হয়। তিনি দীর্ঘদিন যাবত শারীরিক অসুস্থতায় ভুগছিলেন। বৃহস্পতিবার সকালে তার দাফন সম্পন্ন হয়েছে।জানা যায়, কাশ্মীরে ভারতীয় শাসনের বিরুদ্ধে দীর্ঘ সময় প্রচারণা চালিয়ে আসছিলেন ৯২ বছর বয়সী এই নেতা। ভারত প্রশাসন তাকে বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা হিসেবে বিবেচনা করতো।গিলানির মৃত্যুর পর উত্তেজনা সৃষ্টি হতে পারে এমন আশঙ্কায় শ্রীনগরে নিরাপত্তার কড়াকড়ি বাড়িয়েছে ভারত প্রশাসন। গিলানির বাড়ির আশেপাশের রাস্তায় কাঁটাতারের বেড়া দিয়ে প্রতিরোধ তৈরি করেছে তারা। সেখানে ইন্টারনেট সেবা এবং ফোন বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। শহরে কারফিউ দেয়া হতে পারে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে।ভারত শাসিত কাশ্মীরে এই ধরনের পদক্ষেপ এর আগেও নেয়া হয়েছে। পুলিশ এমন পদক্ষেপকে সতর্কতামূলক হিসেবে আখ্যা দিয়ে থাকে। তাদের ভাষ্যমতে, অনলাইনে গুজব ছড়িয়ে সহিংসতায় উস্কানি দেয়া যেন সম্ভব না হয় তা নিশ্চিত করতে এই ধরনের পদক্ষেপ নেয়া হয়ে থাকে।ভারত-শাসিত কাশ্মীরে গত ৩০ বছর ধরে সহিংসতার ঘটনা ঘটছে। ভারতের প্রশাসনের ভাষ্য অনুযায়ী বিচ্ছিন্নতাবাদী আগ্রাসন বাড়ার কারণেই এই সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। তবে অনেক কাশ্মীরিই মনে করেন ভারতের শাসনের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ তৈরি করায় কাশ্মীরের স্বাধীনতাকামী মানুষের বিরুদ্ধে ভারতীয় প্রশাসন আগ্রাসন চালাচ্ছে।ভারতে গিলানি সম্পর্কে একাধিক মতবাদ চালু রয়েছে। অনেক বিশেষজ্ঞ মনে করেন গিলানি সবসময় কাশ্মীরের স্বাধীনতার কথা বললেও ব্যক্তিগতভাবে পাকিস্তানের সাথে কাশ্মীরের যোগ দেয়া সমর্থন করতেন।তার মৃত্যুতে ভারতের কাশ্মীরি নেতাদের পাশাপাশি পাকিস্তানি রাজনীতিবিদরাও শোক প্রকাশ করে বিবৃতি দিয়েছেন।পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান তার টুইটারে গিলানিকে ‘মুক্তিযোদ্ধা’ হিসেবে আখ্যা দিয়ে শোক প্রকাশ করেছেন এবং বৃহস্পতিবার আনুষ্ঠানিক শোক পালনের ঘোষণা দিয়েছেন।

Share.