ডেস্ক রিপোর্ট: শেষমেশ কি যুদ্ধ জড়াচ্ছে ভারত। কাশ্মীরকে কেন্দ্র করে একদিকে চীন, অন্যদিকে পাকিস্তান- কার সঙ্গে আগে যুদ্ধে জড়াবে ভারত? এসব বিষয় স্পষ্ট না হলেও কাশ্মীরে যেন ইতোমধ্যে যুদ্ধ-প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে বলে জানিয়েছে টাইমস অব ইন্ডিয়ার বাংলা সংবাদমাধ্যম এইসময়। সূত্রের বরাত দিয়ে ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জম্মু-কাশ্মীর প্রশাসনের তরফে রাজ্যের এলপিজি গ্যাসের ডিস্ট্রিবিউটারদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, আগামী দুমাসের জন্যে রান্নার গ্যাসের সিলিন্ডার মজুত রাখতে। যদিও প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, ভূমিধ্বসের কারণে জাতীয় সড়কে পণ্য পরিবহণ ব্যাহত হতে পারে। সেই কারণেই কাশ্মীরে আগামী দু’মাসের জন্য এলপিজি গ্যাস পর্যাপ্ত মজুত রাখতে বলা হয়েছে। শুধু তাই নয়, গান্ডারওয়াল এলাকার পুলিশ সুপারের দফতর থেকেও জারি হয়েছে একটি নির্দেশিকা। সেখানে বলা হয়েছে এলাকার ১৬টি স্কুল নিরাপত্তা কর্মীদের জন্যে ব্যবহার করা হবে। তাই যেন স্কুলগুলো খালি করে দেওয়া হয়। উল্লেখ্য, গান্ডারওয়াল হল কাশ্মীরের কার্গিল সংলগ্ন এলাকা।স্থানীয়দের মতে, সরকারের তরফে যে কারণই দেখানো হোক না কেন, আগের অভিজ্ঞতা তাদের রয়েছে। তাই বেশ বড় ধরনের কিছুই যে ঘটতে চলেছে, তা নিয়ে নিশ্চিত তারা। ৩৭০ ধারা বদলের পরই কার্যত লকডাউনে রয়েছে ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীর। এরপর করোনার কারণে লকডাউনের মাত্রা বেড়েছে। কাশ্মীরে বিদ্রোহীদের সঙ্গে ভারতীয় বাহিনীর প্রতিদিনই লড়াই চলছে বলে জানিয়েছে দেশটির সংবাদমাধ্যম। সেখানে দাবি করা হয় যে, কয়েকশ বিদ্রোহী পাকিস্তান থেকে কাশ্মীরের প্রবেশের অপেক্ষায় রয়েছে। এছাড়া কাশ্মীরের লাদাখে চীনের সঙ্গে সীমান্তে চরম উত্তেজনা চলছে ভারতের। সেখানে দুই দেশই সেনা ও যুদ্ধ সরঞ্জাম জড়ো করেছে। এছাড়া সীমান্তের বিভিন্ন পয়েন্টে সেনা বাড়িয়েছে ভারত। তবে শেষ পর্যন্ত সীমান্তের উত্তেজনা কতদূর গড়ায় তা সময়ই বলে দেবে।
কাশ্মীরে গ্যাস মজুতের নির্দেশ, স্কুল খালি করছে ভারত
0
Share.