ডেস্ক রিপোর্ট: কিউবার পাঁচ তারকা হোটেল সারাতোগায় বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ২২ জন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছেন ৬০ জনের বেশি। স্থানীয় সময় শুক্রবার (৬ মে) ওল্ড হাভানার ঐতিহ্যবাহী হোটেলটিতে এই বিস্ফোরণ হয়। খবর বিবিসির। ধারণা করা হচ্ছে, ওল্ড হাভানার সারাটোগা হোটেলের পাশে থাকা গ্যাস ট্যাংকার থেকে আগুনের সূত্রপাত। এর কারণে হোটেলের অন্তত বেশ কয়েকটি ফ্লোর ধ্বংস হয়ে গেছে। ঐতিহাসিক হোটেলটি আগামী চারদিনের মধ্যে খোলার কথা ছিল। এর আগে করোনার কারণে এতদিন বন্ধ ছিল হোটেলটি। আটকে পড়া মানুষদের উদ্ধারে অভিযান চলছে। বিস্ফোরণের পরপরই নিরাপত্তার অংশ হিসেবে হাভানার ঐতিহাসিক ভবনগুলো ঘিরে ফেলেছিলেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।সেখানকার একজন বাসিন্দা ইয়াজিরা দে লা কারিদাদ সিবিএস সিবিএস নিউজকে বলেন, বিস্ফোরণের ঘটনায় প্রথমে তিনি ভেবেছিলেন এটি কোনো ভূমিকম্পের ঘটনা। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিস্ফোরণের পর কালো ধোয়া আর ধুলোয় তারা আকাশ ছেয়ে যেতে দেখেছেন। ওই হোটেলের ঠিক পেছনে একটি স্কুল রয়েছে। তবে স্কুলটির কোনো ক্ষতি হয়নি। স্থানীয় কর্মকর্তারা নিশ্চিত করেছেন, বিস্ফোরণের পরপরই শিক্ষার্থীদের নিরাপদে সরানো গেছে। কিউবার প্রেসিডেন্ট মিগুয়েল দিয়াজ-ক্যানেল ক্ষতিগ্রস্ত হোটেল পরিদর্শন করেছেন। তিনি বলেছেন, এটি কোনো বোমা হামলার ঘটনা নয়। এটি একটি দুর্ভাগ্যজনক দুর্ঘটনা। এমন সময় এ দুর্ঘটনাটি ঘটল যখন করোনার দুই বছরের ধকল কাটিয়ে কিউবার পর্যটন শিল্প আবার ঘুরে দাঁড়াবার চেষ্টা করছিল। সারাতোগা হোটেল করোনাকালের বেশির ভাগ সময় সংস্কারের জন্য বন্ধ ছিল। ১৯ শতকে গড়া সারাতোগা হোটেল বিদেশি পর্যটকদের কাছে বেশ পরিচিত। যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার সময় হাভানা ও ওয়াশিংটনের মধ্যকার দ্বান্দ্বিক সময় লাগবে প্রচেষ্টা চলে। সে সময় বিশেষ করে ম্যাডোনা, বিয়ন্সে ও মিক জ্যাগারের মতো খ্যাতিমান তারকারা এই হোটেলে থেকেছেন।