কিস্তি আদায়ের স্থগিতাদেশ মানছে না এনজিওর মাঠ কর্মীরা

0

ঢাকা অফিস: পর্যটনকেন্দ্র কুয়াকাটায় করোনার প্রভাব বিস্তার রোধে সরকারি নিষেধাজ্ঞার পরে শতাধিক হোটেল-মোটেল বন্ধ রয়েছে। জীবন-যাত্রায় এক ধরনের স্থবিরতা নেমে এসেছে। কোথাও নেই প্রাণচাঞ্চল্য। সবকিছু স্থবির হয়ে গেছে। নিত্য আয়ের মানুষসহ মধ্যবিত্তরা এমনিতেই টানাপড়েনে দিন কাটাচ্ছেন। মানুষের এসব দিক বিবেচনা করে ২৩ মার্চ পটুয়াখালীর জেলা প্রশাসন এক লিখিত নির্দেশনায় সকল এনজিওর ঋণের কিস্তি আদায় অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করেছে। কিন্তু কিস্তি আদায়ের দৌরাত্ম থামেনি। মঙ্গলবার সকাল থেকে কুয়াকাটাসহ সাগরপারের কলাপাড়া উপজেলায় সকল এনজিও তাঁদের ঋণের কিস্তি আদায় করছে। এনিয়ে ঋণগ্রহীতার সঙ্গে আদায়কারী মাঠকর্মীদের সঙ্গে বাগ-বিতন্ডা হয়েছে। কিন্তু কিস্তি আদায় থেমে নেই। শুধু এনজিও নয়, উপজেলা সমাজসেবা এবং সমবায় অফিসের নিবন্ধিত সমবায় সমিতিগুলো নিজেদের মতো পরিচালিত ঋণের দৈনিক, সাপ্তাহিক, পাক্ষিক ও মাসিক কিস্তি আদায় অব্যাহত রেখেছে। এমনকি সূদী মহাজনরাও দোকানে দোকানে গিয়ে কিস্তি আদায় অব্যাহত রেখেছে। মাঠ পর্যায়ে যথাযথ মনিটরিং না থাকায় সরকারের দেয়া সেবা পায়না সাধারণ মানুষ। উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবু হাসনাত মোহাম্মদ শহিদুল হক জানান, সকল এনজিও প্রতিনিধিদের কিস্তি আদায় বন্ধের জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। কেউ না মানলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Share.