রবিবার, নভেম্বর ২৪

কিয়েভ সফর করলেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী

0

ডেস্ক রিপোর্ট: কঠোর গোপনীয়তার মধ্য দিয়ে ইউক্রেন সফর করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন। এ সময় তারা ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে চলমান রুশ অভিযান নিয়ে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন। বিবিসি জানায়, গত রবিবার যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইউক্রেন সফর করেন। নিরাপত্তাজনিত কারণে তাদের সফরের বিষয়ে পূর্বে কিছু জানানো হয়নি। এমনকি সাংবাদিকদেরও আহ্বান জানানো হয়নি। এই খবর প্রথম প্রকাশ করেন ইউক্রেনের এক কর্মকর্তা। ওয়াশিংটনের পক্ষ থেকে শুরুতে কোনো তথ্য দিতে না চাইলেও পরে এক বিবৃতিতে তা স্বীকার করে। নিরাপদে প্রতিবেশী দেশ পোল্যান্ডে পৌঁছানোর পরপরই আনুষ্ঠানিকভাবে তথ্য দেয় ওয়াশিংটন। হোয়াইট হাউসের এক কর্মকর্তা জানায়, জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠকে আরও সাতশ মিলিয়ন মার্কিন ডলার আর্থিক সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। এ অর্থের অর্ধেক সরাসরি ইউক্রেনে ব্যয় হবে। আর বাকি অর্থ ন্যাটোভুক্ত দেশ ও ইউক্রেনের প্রতিবেশী দেশগুলোতে ব্যয় হবে। অধিকন্তু, যুক্তরাষ্ট্র ১৬৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের অস্ত্র কিয়েভের নিকট বিক্রি করবে। ভলোদিমির জেলেনস্কি ছাড়াও দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী, প্রতিরক্ষামন্ত্রীর সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন অ্যান্টনি ব্লিনকেন ও লয়েন অস্টিন। এ ছাড়া, চলতি সপ্তাহেই কিয়েভে নতুনভাবে যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস চালু হতে পারে। গত দুই বছর ধরে সেখানে দূতাবাসের অফিস থাকলেও যুক্তরাষ্ট্রের নিযুক্ত কোনো রাষ্ট্রদূত ছিল না। ব্রিজেট ব্লিনকেন নতুন রাষ্ট্রদূত হতে পারেন।বর্তমানে তিনি স্লোভাকিয়ায় রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব পালন করছেন। ধারণা করা হচ্ছে, প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সোমবার (২৫ এপ্রিল) ব্রিজেটকে ইউক্রেনে নতুন রাষ্ট্রদূত হিসেবে মনোনয়ন দিতে পারেন। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি রুশ সামরিক অভিযানের পর এটিই যুক্তরাষ্ট্রের সর্বোচ্চ কর্মকর্তাদের কিয়েভ সফর। অবশ্য এর আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ইউক্রেনের প্রতিবেশী পোল্যান্ড সফর করেছিলেন। কিন্তু নিরাপত্তাজনিত কারণে তিনিও ইউক্রেন সফর থেকে বিরত ছিলেন। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইউক্রেন সফর করলেও সরাসরি যুদ্ধে অংশগ্রহণের কোনো পরিকল্পনা নেই বলে জানিয়েছেন এক মার্কিন কর্মকর্তা। এর আগে জেলেনস্কি ইউক্রেনে নো-ফ্লাই জোন ঘোষণার দাবি করলেও তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরুর শঙ্কায় সে দাবি নাকচ করে দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।

 

Share.