শুক্রবার, ডিসেম্বর ২৭

কুবিতে কেবল স্নাতকোত্তর পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা, শিক্ষার্থীদের ক্ষোভ

0

ঢাকা অফিস:  কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) কেবল স্নাতকোত্তর পর্যায়ে আগামী ৯ সেপ্টেম্বর থেকে সশরীরে পরীক্ষা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। অন্যান্য পর্যায়ের পরীক্ষা ‘অনলাইনেও নেয়া যাবে’ এমন অনুমোদনের কথা জানানো হলেও তা সুনির্দিষ্ট করা হয়নি। প্রশাসনের এমন সিদ্ধান্তে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন শিক্ষার্থীরা। পাশাপাশি তারা বিশ্ববিদ্যালয়ে মঙ্গলবার (৩১ আগস্ট) সকাল ১০টায় সকল ব্যাচের পরীক্ষার তারিখ ঘোষণার জন্য বিক্ষোভের ডাক দিয়েছেন। তারা বলছেন, এর আগেও ২ বার স্নাতকোত্তর ও চূড়ান্ত বর্ষের পরীক্ষার মাধ্যমে স্থগিত পরীক্ষা নেয়া শুরু হয়েছিল। পরবর্তীতে স্নাতকের অন্যান্য পর্যায়ে আসার আগেই করোনার কারণে আবারও পরীক্ষা স্থগিত করতে হয়েছে। ফলে তারা বড় ধরণের সেশন জটে পড়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয়টির ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের (১৪তম আবর্তন) শিক্ষার্থীরা দেড় বছরেরও বেশি সময়ে ধরে প্রথম বর্ষেই রয়েছেন। এখনো পর্যন্ত চূড়ান্ত পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেননি তারা।এ বিষয়ে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ১৪তম আবর্তনের শিক্ষার্থী ফারিয়া রিমি হতাশা প্রকাশ করে  বলেন, অনলাইনে আমাদের প্রথম এবং দ্বিতীয় সেমিস্টারের কোর্সগুলোর ক্লাস শেষ করা হলেও পরীক্ষা না হওয়ার কারণে এখন পরের ইয়ারের ক্লাস শুরু করতে পারছি না। একেবারেই নিরুপায় হয়ে বসে আছি। অনলাইনে পরীক্ষা কার্যক্রম শুরু করার নির্দেশনা আসলেও এখন পর্যন্ত বিভাগ ভিত্তিক বিস্তারিত তেমন কিছুই জানানো হয়নি। একাডেমিক কাউন্সিলের মিটিংয়েও আমাদের পরীক্ষার ব্যাপারে কোনো সুষ্ঠু সিদ্ধান্ত আসেনি। ২০২১ সাল শেষের পথে। এক্ষুনি যদি আমাদের ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়া না হয়। তাহলে হয়তো ২০২২ সালেও একই বর্ষেই থেকে যাবো। অপরদিকে একটি মাত্র পরীক্ষার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়টির নৃবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষ (১০ম আবর্তন) শিক্ষার্থীদের স্নাতক আটকে রয়েছে। তাদের জন্যও বিশ্ববিদ্যালয়টিতে নেয়া হয়নি কোনো সুনির্দিষ্ট সিদ্ধান্ত। এ বিষয়ে বিভাগটির ১০ম আবর্তনের শিক্ষার্থী অর্ক গোস্বামী ক্ষোভ প্রকাশ করে  বলেন, মাস্টার্সের পরীক্ষার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ভালো কথা। কিন্তু মাস্টার্সের জন্য চাকরির বাজারে শিক্ষার্থীরা আটকে আছে নাকি অনার্সের জন্য। অনার্সের জন্য শিক্ষার্থীরা চাকরির আবেদন করতে পারছে না। আর মাস্টার্সের জন্য হয়তো প্রমোশন আটকে থাকতে পারে। তাহলে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কোনটা নেয়া উচিত ছিলো? এটা প্রশাসনের কেমন অগ্রাধিকার নীতি তা আমার বোধগম্য নয়। এই বিষয়ে আরেকটু সচেতনতার পরিচয় চাইলে প্রশাসন রাখতে পারতো। পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক নুরুল করিম চৌধুরী বলেন, স্নাতকোত্তরের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে তাই আমরা এর প্রস্তুতি শুরু করবো। পরীক্ষা নেয়া শুরু হলে আমরা আবারও মিটিং করে অন্যান্যদের পরীক্ষার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবো।এ বিষয়ে জানতে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমরান কবির চৌধুরীকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

Share.