কুড়িগ্রামে ৩ দিনে ঘর হারাল ৭১টি পরিবার

0

 ঢাকা অফিস: তিস্তা নদীতে পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাম তীরে অবস্থিত কুড়িগ্রামের রাজারহাট, উলিপুর ও চিলমারী উপজেলার ৭টি গ্রাম ভাঙনের কবলে পড়েছে।এর ফলে ৩ দিনে ভাঙনে তিন গ্রামে ৭১টি পরিবার ভিটেমাটি হারিয়ে গৃহহীন হয়েছেন। গৃহহারা পরিবারগুলো মাদ্রাসা ও স্কুল ঘরসহ বিভিন্ন স্থানে কোনো রকমে মাথা গুঁজে মানবেতর জীবনযাপন করছেন।এছাড়াও ভাঙনের কবলে পড়েছে উলিপুর উপজেলার থেতরাই ইউনিয়নের গোড়াই পিয়ার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতল ভবন, মাদ্রাসা ও মসজিদসহ বিভিন্ন স্থাপনা। নদী থেকে এসব স্থাপনার কোনোটির দূরত্ব ৫ মিটার এবং কোনোটির ১০ মিটার।কুড়িগ্রাম, রংপুর ও লালমনিরহাট জেলার শেষ সীমান্তে অবস্থিত তিস্তা রেলওয়ে ও সড়ক সেতু থেকে কুড়িগ্রাম জেলার রাজারহাট, উলিপুর ও চিলমারী উপজেলার ঘড়িয়ালডাঙ্গা, বিদ্যানন্দ, নাজিমখান, থেতরাই, গুনাইগাছ, বজরা ও রমনা ইউনিয়নের মধ্য দিয়ে ৪০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে ব্রহ্মপুত্র নদে পতিত হয়েছে তিস্তা নদী। এই অংশে তিস্তা নদী ক্রমেই বাম দিকে সরে আসছে। ফলে প্রতিবছর বাম তীরের কোনো না কোনো গ্রাম ভাঙনের শিকার হচ্ছে।এবার ভাঙনের কবলে পড়েছে সরিষাবাড়ী, গতিয়াসাম, খিতাবখা, গোড়াই পিয়ার, হোকডাঙ্গা, বজরা ও সাধুয়া দামার-এই ৭টি গ্রাম। এরমধ্যে গতিয়াসাম, খিতাবখা ও গোড়াই পিয়ার এলাকায় ভাঙনের তীব্রতা বেশি।রাজারহাট উপজেলার প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. সাজিবুল ইসলাম জানান, ৩ দিনে ভাঙনে গতিয়াসাম গ্রামে ৩টি এবং খিতাবখা গ্রামে ৭টিসহ মোট ১০ পরিবার গৃহহারা হয়েছে। এদের তাৎক্ষণিক সহায়তা হিসেবে খাদ্য সামগ্রী দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।উলিপুর উপজেলার প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. সিরাজুদৌলা জানিয়েছেন, ৩ দিনের ভাঙনে গোড়াই পিয়ার গ্রামে ৬১টি পরিবার গৃহহীন হয়েছেন।এ প্রসঙ্গে উলিপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নূর-এ জান্নাত রুমি জানিয়েছেন, গৃহহারা পরিবারগুলোকে তাৎক্ষণিক সহায়তা হিসেবে নগদ অর্থ ও খাদ্য সামগ্রী দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।এদিকে, কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আরিফুল ইসলাম জানিয়েছেন, তিস্তার বাম তীরের ভাঙন রোধে স্থায়ী প্রতিরক্ষা কাজের কোনো প্রকল্প চলমান নেই। এজন্য জরুরি প্রতিরক্ষা হিসেবে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলোতে বালি ভর্তি জিও ব্যাগ এবং জিও টিউব দিয়ে ভাঙন ঠেকানোর চেষ্টা চালানো হচ্ছে।

Share.