ঢাকা অফিস: কৃষকরাই প্রকৃত বীর,তারা বাঁচলেই দেশ বাঁচবে। তাদের হাত ধরেই দেশ খাদ্যে,পুষ্টিতে স্বয়ংস্বপুর্নতা অর্জন করে। কৃষক-শ্রমিকদের শ্রমে ঘামে সবার মুখের অন্ন জোটে। সেকারনে রাষ্ট্র,সমাজ,প্রশাসন সবাইকে তাদের সুবিধা অসুবিধার কথা ভাবতে হবে সবার আগে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুসারে জমির সর্বত্তোম ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। করোনা ভাইরাস সংক্রান্ত জাতির দুর্যোগ মুহুর্তে শ্রমিক সংকটে কোন কৃষকের জমির ধান কাটতে যেন সমস্যা না হয় সে বিষয়টি অগ্রাধিকার দিয়ে আমরা তাদের পাশে থেকে সকল সেবা নিশ্চিত করবো”-কথাগুলো বলছিলেন নাটোরের জেলা প্রশাসক শাহরিয়াজ। তিনি ২৩ এপ্রিল বৃহস্পতিবার সকাল ১১ টায় চলনবিল অধ্যুষিত নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার রুহাই মাঠে কৃষকদের ধান কাটা কার্যক্রমের উদ্বোধন কালে কথাগুলো বলছিলেন। এসময় উপজেলা নির্বাহী অফিসার তমাল হোসেন,কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল করিম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্টানে গুরুদাসপুর উপজেলার পিপলা,রুহাই বিলশা গ্রামের অন্তত ৫ শতাধিক কৃষকদের মাঝে উপজেলা প্রশাসনের উপহার হিসাবে পানির বোতল,ওরাল স্যালাইন,মুড়ি,বিস্কুট,সবান,লেবু প্রদান করা হয়। কৃষি কর্মকর্তা মো. আব্দুল করিম জানান- চলতি মওসুমে গুরুদাসপুরের বিলগুলোতে ৪হাজার ৬শ হেক্টর জমিতে ধান চাষ করা হয়েছিল। ফলনও বাম্পার হয়েছে। নির্বিঘেœ ধান কেটে ঘরে তুলতে পারলে গুরুদাসপুর উপজেলা এলাকার কৃষকদের খাদ্যে কোন সমস্যা থাকবে না। এসব বিষয় বিবেচনায় শ্রমিকের পাশাপাশি
কম্বাইন হার্ভেস্টার দিয়েও ধান কাটা হচ্ছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার তমাল হোসেন বলেন-সরকারী নির্দেশনানুসাবে শ্রমিকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়টি অগ্রাধিকার দিয়ে নিরাপদ দুরত্ব নিশ্চিত করন,তাদের থাকা-খাওয়ার বিষয়ে নজরদারী করা হচ্ছে। একইসাথে কৃষক ও শ্রমিদের সাথে প্রশাসনের যোগসুত্র স্থাপনে মাঠে সার্বক্ষনিক স্বেচ্ছাসেবক টিম কাজ করছে। উপজেলা কৃষি অফিসের তিনজন উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা (বøক সুপারভাইজার)শেষ মুহুর্তে বালাই দমনসহ যে কোন পরামর্শ প্রদানে সার্বক্ষনিক মাঠে কাজ করছে। সব ব্যবস্থাই তত্বাবধান করছে উপজেলা প্রশাসন।
কৃষকরাই প্রকৃত বীর,তারা বাঁচলেই দেশ বাঁচবে: শাহরিয়াজ
0
Share.