ডেস্ক রিপোর্ট: করোনাভাইরাস মহামারি শুরুর পর থেকে বিশ্বব্যাপী আলোচনায় রয়েছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান টেড্রোস আধানম ঘেব্রেয়েসুস। বিশ্বের এই কঠিন মুহূর্তে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন তিনি। করোনার উপসর্গ না থাকলেও সম্প্রকি কোভিড রোগীর সংস্পর্শে আসার কারণে আইসোলেশনে রয়েছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান।রবিবার তিনি টুইট করে জানিয়েছেন, এক করোনা রোগীর সংস্পর্শে এসেছিলেন বলেই কোয়ারেন্টাইনে যাচ্ছেন তিনি। তবে কোভিডের কোনো উপসর্গ তার নেই বলেও স্পষ্ট করে দিয়েছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা প্রধান। গত বছরের শেষ অধ্যায় থেকে করোনার প্রকোপ শুরু হয়েছে। প্রথমে চীনে ছড়িয়ে পড়ে এই ভাইরাস। ২০২০ সালের গোড়া থেকে তা ক্রমশ ছড়াতে শুর করে পৃথিবীর অন্যত্র। এক সময় এই ভাইরাসের উৎস নিয়ে তীব্র বিতর্ক হয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে সরাসরি দায়ী করে বলেছেন, তাদের অপদার্থতার জন্যই গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে এই ভাইরাস। ট্রাম্প অভিযোগ করেছেন, চীনকে আড়াল করার চেষ্টা করছে সংস্থাটি। সরাসরি ডাব্লিউএইচও প্রধানকে দায়ী করে ট্রাম্প বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ফান্ড বন্ধ করে দিয়েছেন। কিন্তু এখনো করোনার সঙ্গে লড়াইয়ে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। কীভাবে এই ভাইরাসকে আটকানো যায়, তা নিয়ে প্রায় প্রতিদিন সতর্কতামূলক নির্দেশ দেয় সংস্থাটি। যার অন্যতম, কোয়ারেন্টাইন। ঘেব্রেয়েসুস নিজে একাধিকবার বলেছেন, চেইন ছিন্ন করতে পারলে এই ভাইরাসকে আটকানো সম্ভব। যার জন্য সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন। যেভাবেই হোক সংক্রমণের চেইনটি ভাঙতে হবে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, সংস্থার প্রধান ঠিক সেই কাজটিই করছেন। করোনার কোনো উপসর্গ তার নেই। কিন্তু কোভিড রোগীর সংস্পর্শে আসার সঙ্গে সঙ্গে তিনি নিজেকে আইসোলেট করেছেন। কোনো ঝুঁকি নেননি। সকলে যদি এই কাজটি করেন, তাহলে করোনার প্রকোপ কমানো সম্ভব।এদিকে গোটা ইউরোপ জুড়ে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হয়েছে। ফ্রান্স সম্পূর্ণ লকডাউন ঘোষণা করেছে। রবিবার থেকে জার্মানিতেও দ্বিতীয় দফার আংশিক লকডাউন শুরু হয়েছে। ইতালি, স্পেনেও নতুন করে সংক্রমণ বাড়তে শুরু করেছে। শীতে সংক্রমণ আরো বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা।
কোয়ারেন্টাইনে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা প্রধান
0
Share.