ডেস্ক রিপোর্ট: ক্ষমতার অপব্যহার করে হুমকি দেওয়ার জেরে পদত্যাগে বাধ্য হয়েছেন যুক্তরাজ্যের বাণিজ্যমন্ত্রী কনোর বার্নস। প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত তিনি। সোমবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে তার পদত্যাগের ঘোষণা দেওয়ার আগে সংসদীয় আচরণের একাধিক নীতিমালা ভঙ্গ করায় তাকে পার্লামেন্ট থেকে বহিষ্কারের সুপারিশ করে যুক্তরাজ্যের স্ট্যান্ডার্ড কমিটি। ওই সুপারিশের পরই পদত্যাগ করেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী। ঋণ সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে কনোর বার্নসের বাবার সঙ্গে এক ব্যক্তির বিরোধ চলছিল। এর জের ধরেই ওই ব্যক্তিকে প্রচ্ছন্ন হুমকি দিয়ে চিঠি দেন বাণিজ্যমন্ত্রী। স্ট্যান্ডার্ড কমিটির তদন্তে দেখা যায়, একাধিকবার নিজের প্রভাব খাটিয়ে ওই ব্যক্তিকে হুমকি দিয়েছেন তিনি।কনোর বার্নসের লেখা এক চিঠির সূত্র ধরে একটি অভিযোগ পায় স্ট্যান্ডার্ড কমিটির কমিশনার ক্যাথরিন স্টোন। ওই চিঠিটি ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে বাবার পক্ষ নিয়ে ওই ব্যক্তির কোম্পানিকে পাঠান তিনি। ওই সময়ে যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টের সদস্য ছিলেন তিনি। পরবর্তীতে ক্যাথরিন স্টোনের মুখোমুখি হয়ে কনোর বার্নস স্বীকার করেন যে কোনও আনুষ্ঠানিক পরামর্শ তিনি চাননি। গত বছরের জুলাইতে বরিস জনসন কনজারভেটিভ পার্টির নেতা নির্বাচিত হওয়ার পর বাণিজ্যমন্ত্রী নিযুক্ত হন কনোর বার্নস। বোর্নমাউথ ওয়েস্ট থেকে ২০১০ সালে প্রথম এমপি নির্বাচিত হওয়ার পর ২০১৫, ২০১৭ ও ২০১৯ সালেও পুনর্নির্বাচিত হন তিনি। জনসনের প্রচারণা দলেরও গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ছিলেন তিনি। জনসন পররাষ্ট্রমন্ত্রী থাকাকালে বার্নস তার পার্লামেন্টারি প্রাইভেট সেক্রেটারিও ছিলেন। তবেক ২০১৮ সালের জুলাইতে ওই পদ থেকে সরে যান তিনি। সোমবার এক টুইট বার্তায় দুঃখ প্রকাশ করে বাণিজ্যমন্ত্রী হিসেবে পদত্যাগ করার ঘোষণা দেন তিনি। তবে বরিস জনসনকে সর্বোতভাবে সহায়তা দেওয়ার ঘোষণা দেন তিনি।
ক্ষমতার অপব্যবহারের জেরে বাণিজ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ
0
Share.