ঢাকা অফিস: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতাকে হত্যার মাধ্যমে মিলিটারি ডিক্টেটররা দেশকে পিছিয়ে দিতে চেয়েছিল। তারা চেয়েছিল দেশ সবসময় পরনির্ভরশীল হয়ে থাক। আমরা দেশকে সে অবস্থা থেকে বের করে এনেছি। খাদ্য ঘাটতির দেশকে এখন খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করে খাদ্য-উদ্বৃত্ত দেশে পরিণত করতে সক্ষম হয়েছি।’ বিশ্ব খাদ্য দিবস উপলক্ষে আজ শুক্রবার রাজধানীর একটি হোটেলে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। অনুষ্ঠানে কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আবদুর রাজ্জাক, খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদারসহ সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর প্রতিনিধিরা বক্তব্য দেন। গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মানুষ যেন খাদ্য পায়, আশ্রয় পায় ও উন্নত জীবনের অধিকারী হয়, এ লক্ষ্য নিয়েই আমরা জাতির পিতার পদাঙ্ক অনুসরণ করে কাজ করছি। জাতির পিতার একমাত্র লক্ষ্য ছিল দেশকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করা ও দেশবাসীর জন্য খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। তিনি মনে করতেন, দেশের এক ইঞ্চি জমিও অনাবাদি রাখা যাবে না। আমরাও দেশের প্রতি ইঞ্চি জমি আবাদ করে কৃষি উৎপাদন বাড়ানোর লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছি।’ কৃষি উৎপাদন বাড়ানোর জন্য দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ভূখণ্ডের দিক থেকে আমাদের দেশ খুবই ছোট। অপরদিকে, আমাদের জনসংখ্যা প্রায় ১৭ কোটির কাছাকাছি। এসব মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা দেওয়াটাই আমাদের কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। সেদিকে লক্ষ্য রেখেই আমাদের কর্মসূচি নিতে হচ্ছে, যাতে খাদ্য উৎপাদন বাড়ানো যায়। আমরা খাদ্য ঘাটতির দেশে খাদ্য উৎপাদন করে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছি। এটা সম্ভব হয়েছে আমাদের কৃষিবান্ধব কর্মসূচির কারণে। আমরা কৃষি গবেষণা ও কৃষকদের নানাভাবে প্রণোদনা দিয়ে আসছি।’
খাদ্য ঘাটতির দেশে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছি : প্রধানমন্ত্রী
0
Share.